কোভিড-১৯ সৃষ্ট মহামারীর এই সময়ে চলছে লকডাউন, ঘরে বসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অর্ডার পেতে বাড়ির লোকেরা এখন বেশিরভাগ সময় টেরই পায়না কখন যে ডেরিভারি ম্যান পৌছে গেছে দরজার সামনে। কারন তাদের ব্যবহৃত মটরসাইকেলের সংখ্যা এখন বহু গুনে কমে গেছে, স্থান করে নিয়েছে দুই চাকার বৈদ্যুতিক যান। নয়াদিল্লির মানুষ এখন আবর্জনাবাহী গাড়ি তাদের পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় শুনতে পান ভারত পরিস্কার রাখুন – আবর্জনাবাহী এই গাড়িগুলোও বৈদ্যুতিক। অন্যদিকে বিনামূল্যে মধ্যাহ্ন ভোজের অপেক্ষায় থাকা কেরালার স্কুল শিক্ষার্থীরা খাবার সরাবরাহকারী বৈদ্যুতিক গাড়িটির জন্য অপেক্ষা করেনা বেশ কিছুদিন, স্কুল বন্ধ তাই। আসলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের এই যে বিপ্লব তা হয়ত বেশ নিরবেই ঘটে গেছে এখানে।
ভারতের যে কোনো রেল স্টেশন থেকে বেরিয়ে এলেই চোখে পড়বে দুটি ত্রিচক্রযানের লাইন, একটি বিদ্যুত চালিত আর অন্যটি তেলের ইঞ্জিন চালিত। প্রতিদিনই বিদ্যুত চালিত গাড়ির লাইন যেন তেল চালিত যন্ত্রের গাড়ির চেয়ে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিশে^র মধ্যে ভারতেই রয়েছে বিদ্যুত চালিত (ই৩ডব্লিউ) যানবাহনের সবচেয়ে বড় বহর।
নজর এখন দ্বিচক্র আর ত্রিচক্রযানে
বৈদ্যুতিক যানের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার বৃদ্ধির এই ধরণ হয়ত গোটা শিল্পেই এক ধরনের বৈপ্লবীক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে বিশে^র সবচেয়ে বড় দুটি বৈদ্যুতিক দ্বিচক্রযানের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় হওয়ায় এই ধরনের যানবাহনের একটি ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই খাতের সাথে যুক্ত প্রায় সকল বিশেষজ্ঞই মনে করেন যে আগামী বেশ কয়েক বছর যানবাহন খাতে বিশেষ করে ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বাহন হিসেবে বৈদ্যুতিক চার চাকার গাড়ির বেশ প্রাধান্য পাবে। আর বড় ধরনের যানবাহনের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক বাসের বহর প্রসারিত হতে কিছুটা সময় লাগবে।
বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সরাবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স কোম্পানি, স্থানীয় পর্যায়ের যাত্রী চলাচলের বাহনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক দ্বিচক্রযানের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। এর অন্যতম কারন হচ্ছে স্বল্প কর ব্যবস্থা। গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্র সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে, অন্যদিকে জ্বালানী চালিত যানবাহনের কর ২৮ শতাংশই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের বেশ কিছু রাজ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহনের রেজিষ্ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ মুহুর্তে বাজারে এক ধরনের বৈদ্যুতিক বাইকের প্রচলন দেখা যাচ্ছে যেগুলোর একশ সিসি মটর চালিত সাইকেলের সমপরিমান শক্তি রয়েছে। এই ধরনের বাইক প্রস্ততকারী নতুন কোম্পানী ইউলু বর্তমানে দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু এবং মুম্বাই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সাথে এক চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই চুক্তির আওতায় যে কেউ স্টেশন থেকে বেরিয়ে বা ষ্টেশন থেকে অন্য গন্তব্যে যেতে এই বাইকটি ভাড়া করতে করতে পারবে।
সবই অর্থের প্রয়োজনে
মটরচালিত দ্বিচক্রযানের চেয়ে অবশ্য বৈদ্যুতিক দ্বিচক্রযানের মূল্য এখনও কিছুটা বেশি। তবে ভোক্তারা এনিয়ে তাদের মনোভাব পরিবর্তন করছেন কারন পেট্রোলের চেয়ে বৈদ্যুতিক বাহানের চার্জিং ব্যয় অনেক কম। কিন্তু অগ্রীম ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৈদ্যুতিক যানের বাজার তাই এখনও ততটা সম্প্রসারিত হয়নি।
বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে এখানে অন্যতম একটি বাঁধা হচ্ছে ব্যক্তির ঋণ শোধের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা। ফলে অনেকেই এই ধরনের বাহন কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না। অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর সমস্যা হচ্ছে তারা এই ধরনের পন্যের পুনরায় বিক্রির মূল্য এবং সুযোগ সম্পর্কে ততটা নিশ্চিত নয়। এর ফলে নন-ব্যাকিং বা বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে ঢুকে পড়েছে আর এর জন্য গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে চড়া সুদ।
যৌক্তিক হিসাব মতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহনের আর্থিক বাজারের পরিমান গিয়ে দাঁড়াবে ভারতীয় মুদ্রায় ৩.৭ ট্রিলিয়ন রুপিতে (৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
এই ধরনের কোনো পরিবর্তন অত্যন্ত ব্যয়বহুল, এটি কেবল ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য নয়। সরকারের থিংক-ট্যাংক এনআইটিআই আয়োগের এক হিসেব মতে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে বৈদ্যুতিক বাহনে রুপান্তরের ব্যয় গিয়ে দাঁড়াবে ১৯.৭ ট্রিলিয়ন রুপিতে (২৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
বাঁধার জয়
অনেক হোম ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে তাদের নিযুক্ত কর্মীদের জন্য বৈদ্যুতিক বাহন নিজেরাই কিনে দিচ্ছে অথবা সহজ শর্তে ঋণের মাধ্যমে প্রদান করছে।
ভারতের বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনকারী কোম্পানী কাইনেটিক গ্রিনের প্রধান নির্বাহী সুলাজিয়া ফিরোদিয়া মোতওয়ানি বলেন, আসলে যে হারে বৈদ্যুতিক যানবাহন ক্রয়ের সংস্কৃতিক চলছে তাতে এর সঙ্গে জ্বালানী চালিত মোটরযানের মূল্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এর ফলে প্রচুর মানুষই বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার প্রতি আগ্রহী হবে।
মাহিন্দ্র ইলেকট্রিক মোবিলিটির প্রধান নির্বাহী মহেশ বাবু বলেন, ভারতে প্রতিবছর বিক্রি হওয়া যানবাহনের প্রায় ৮০ শতাংশই হচ্ছে বিদ্যুত চালিত দ্বিচক্র ও ত্রিচক্র যানবাহন। এই সেক্টরটি আসলে বেশ প্রতিশ্রুতিশীল এবং আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে এর উৎপাদন চার মিরিয়ন ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইন্সটিটিউটের (ডব্লিউআরআই) সমন্বিত যানবাহন শাখার নির্বাহী পরিচালক অমিত ভাট বলেন, আমার মনে হয় ভারতীয় অর্থনীতির একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়াবে এই বিদ্যুত বাহিত যানবাহন। আশা করি ২০২২ সালই হবে এই শিল্পের জন্য সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সময়।
প্রতিযোগিতায় নেতৃত্বে দ্বিচক্র যান
সরকারের কোনো নীতির অপেক্ষা না করে বিদ্যুত বাহিত যানবাহন, বিশেষ করে রিকশা ভারতের সড়ক ও অলিগলির বিরাট অংশ স্থান দখল করে নিয়েছে। এসব যানবাহন এখন গন্তব্যের সবচেয়ে শেষ অংশে পৌছাতে ব্যবহৃত হয়। বেশ কিছু প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সমগ্র ভারতে এই ধরনের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন যানবাহন চলাচল করছে। আর প্রতি মাসে এই বহরে যুক্ত হচ্ছে আরো দশ হাজারেরও বেশি এই ধরনের বাহন।
প্রায় সব ধরনের বৈদ্যুতিক যানবাহন চলে লিড-অ্যাসিড ব্যাটারি দ্বারা। এইগুলো দামে অত্যন্ত সস্তা এবং সহজেই পরিবর্তনযোগ্য, ফলে রিচার্জের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়না। কাইনেটিক গ্রিনের প্রধান নির্বাহী মোতওয়ানি বলেন, জ্বালানী চালিত মটর গাড়িতে তেল পূর্ণ করতে যে সময় লাগে প্রায় সমপরিমান সময় লাগে বিদ্যুত চালিত গাড়ির ব্যাটারি পরিবর্তন করতে। তাই ব্যাটারি পরিবর্তনের বিষয়টি একটি বিকল্প ও টেকসই ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে।
বড় বড় কোম্পানীগুলো বিদ্যুত চালিত গাড়ির জন্য লিথিয়াম ব্যাটারির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে – এর ফলে এসব পন্যের মূল্য যথেষ্ট বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে বিদ্যুত চালিত বাহনের চাহিদার উপরে কতটা প্রভাব পড়তে পারে বিষয়টি খুব একটা পরিস্কার নয়। বর্তমানে, পৌরসভার মতো বড় ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুত চালিত এই ধরনের ত্রিচক্র ও চার চক্রের যানবাহনে ব্যবহারের জন্য উচ্চমূল্যের এই ধরনের ব্যাটারির চাহিদা পাওয়া যাচ্ছে।
বৈদ্যুতিক বাস
রাজ্য সরকার এবং পৌরসভাগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুত চালিত বাসের জন্য চাহিদা বাড়ছে। ভারতের কমপক্ষে দশটি রাজ্য এরই মধ্যে বৈদ্যুতিক গতিশীলতা নীতি প্রণয়ন করেছে, আরো কমপক্ষে ছয়টি রাজ্য এই ধরনের নীতি চূড়ান্ত করারর পথে রয়েছে। অবশ্য কেন্দ্র সরকার এ মুহুর্তে কেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ও দ্রুত চার্জ নিতে সক্ষম ই-বাসের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে।
বেশ কয়েক বছর আগেই ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অশোক লেল্যান্ড লিড-অ্যাসিড ব্যাটারি দ্বারা চালিত বাস উৎপাদন শুরু করেছে। কিন্তু এর পর আর নতুন ধরনের কোনো মডেল দ্বারা এখনও উৎপাদন করেনি। টাটা মটরস এবং ওলেকট্রা তাদেও বাসগুলোকে বিদ্যুত চালিত বাসে রুপান্তরে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বিদ্যুত চালিত ট্যাক্সি
এর অর্থ এই নয় যে বিদ্যুত চালিত চার চাকার যান পুরোপুরি হারিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুত চালিত ট্যাক্সি সেবা অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে। এধরনের ৭০টি গাড়ি নিয়ে ট্যাক্সি সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে ব্লুস্মার্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান দিল্লি ও এর অদুরে গুরগাওয়ে এই কোম্পানীর গাড়ির বহরে এধরনের গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৪০০। যেহেতু মহামারীর কারনে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সাধন হয়েছে, তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্লুস্মার্ট একটি দারুণ স্কিম হাতে নিয়েছে। এই স্কিমের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি এই গাড়ি কিনে তাদের কোম্পানিতে বাড়া দিতে পারে। ভাড়ায় দেয়া গাড়ির সকল ব্যবস্থাপনা ব্লুস্মার্ট কোম্পানিউ বহন করবে, উপরন্তু গাড়ির মালিক প্রতিমাসে একটি নিদৃষ্ট অংকের মুনাফা ভোগ করবে। যদি ওই ব্যক্তি কোনো এক সময় আর এই স্কিমের আওতায় থাকতে না চয় তবে ব্লুস্মার্ট কোম্পানী তার কাছ থেকে গাড়িটি কিনে নেবে।
ব্লুস্মার্টের কৌশল ও পরিকল্পনা ব্যবস্থাপক শিভম খাত্তার বলেন, এই ব্যবসাটি যেহেতু বড় ধরনের মূলধন কেন্দ্রীক, তাই আমরা এটিকে যতটুকু সম্ভব হালকা সম্পদ কেন্দ্রীক করা যায় ততটুকু করার চেষ্টা করেছি।
ভারতের আরো বেশ কয়েকটি শহরে কিছু কোম্পানী ই-ট্যাক্সির মাধ্যমে শেয়ারড-রাইড অর্থাৎ ভাগাভাগি করে চলাফেরা প্রচলনের চেষ্টা করছে।
বিদ্যুত চালিত বাহন চার্জ প্রদান করে সামনে এগিয়ে যাওয়া
পরিবহন খাতে এধরনের পরিবর্তনের কারনে এখন ব্যাটারি প্রস্ততকাররক কোম্পানীগুলো তাদের কারখানায় নতুন করে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। গুজরাটে দেশের প্রথম লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডেনসো ২০২১ সালেই তাদের উৎপাদনের কাজ শুরু করবে। এরইমধ্যে, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানী টাটা পাওয়ার তাদের সকল ব্যবস্থাপনা, স্থাপনা ও কার্যক্রম চলার স্থানে চার্জিং অবকাঠামো নির্মানের কাজ শুরু করেছে।
অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য বিদ্যুত চালিত যানবাহনকে উৎসাহিত করতে তাদের নতুন রাজধানীতে নতুন করে আর কোনো জ্বালানী চালিত মটর যানের নিবন্ধন না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ট্যাক্সি হিসেবে জ্বালানী মটর যানের নিবন্ধন না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লির সরকার। এসব অঞ্চলে যেহেতু আগামী অল্প দিনের মধ্যেই বিদ্যুত চালিত যানবাহনের আধিক্য বাড়বে, সুতরাং এই খাতে সামনের দিনগুলোতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।
এবিষয়ে আরেকটি সম্ভাবনার জায়গা হলো সরকারের একটি নতুন সিদ্ধান্ত। সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে যে ভারতে ব্যাটারি ছাড়া বৈদ্যুতিক যানবাহনের নিবন্ধন চালু করা হবে। যেহেতু এই ধরনের যানবাহনের ক্ষেত্রে একটি বড় খরচের খাত হচ্ছে ব্যাটারি, তাই ক্রেতারা এখন এবিষয়ে নতুন নতুন বিকল্পের কথা বিবেচনা করবেন। আর এর মধ্য দিয়ে বাটারি প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বাড়বে উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতা।
টাটা মোটরসের বাণিজ্যিক পরিবহন ব্যবসা শাখার প্রেসিডেন্ট গিরীশ ওয়াঘ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সরকারের পক্ষ থেকে যে ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তা সঠিক পথেই চলছে এবং এর ফলে দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যুতায়নের পথটি আরো ত্বারান্বিত হবে। এই গতি বজায় রাখতে নীতি সহায়তা এবং প্রনোদনা, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং সরবরাহ চেইন বিকাশের প্রচার অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরী।
একটি সন্ধিক্ষণ
মাহিন্দ্র ইলেকট্রিক মোবিলিটির মহেশ বাবু বলেন, বিদ্যুত চালিত যানবাহনের মান শৃংখলা ক্রমেই বাড়ছে, আশা করা যাচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে এটির আর্থিক মূল্য ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উপনীত হবে। এটি সুখপ্রদ যে আমরা এখন নিজেরাই বিদ্যুত চালিত যানবাহনের বিভিন্ন উপাদান যেমন বৈদ্যুতিক মটর, ব্যাটারি প্যাক এবং চার্জ করার মতো অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি তৈরিতে সক্ষম।
ভারতে সৌর শক্তির মাধ্যমে এসব বিদ্যুত চালিত যানবাহন চার্জের অবকাঠামো নির্মান করা গেলে কার্বন নির্গমনের মাত্রা তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পাবে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন ব্যাপক হারে সার্বিক খাতে রুপান্তরের প্রচেষ্টা। অনেকেই মনে করছে এর জন্য প্রয়োজন একটি দৃষ্টিনন্দন ব্র্যান্ড ও ব্যাপকভিত্তিক মার্কেটিং। ডব্লিউআরআইয়ের অমিত ভাট বলেন, দ্বিচক্র যানের বাজার সৃষ্টি করতে হলে এখন আমাদের একটি তেসলার সমতুল্য একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন।