পানি

‘ধ্বংসাত্বক’ নদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে আবারো এগুচ্ছে ভারত

সারাদেশে জলসংকট মোকাবেলায় ব্রক্ষপুত্র ও গঙ্গাসহ ৩০টি নদী সংযোগের মতো উচ্চাভিলাসী ও পরিবেশের দিক থেকে উদ্বেগজনক প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে ভারত।
<p>Environmentalists fear the project will cause water-logging, hamper transportation of silt, affect fisheries, submerge forests and reduce water flow to Bangladesh.</p>

Environmentalists fear the project will cause water-logging, hamper transportation of silt, affect fisheries, submerge forests and reduce water flow to Bangladesh.

পরিবেশবাদীদের শংকা আন্ত:নদী সংযোগের ফলে জলাবদ্ধতা, নদীতে নাব্যতা কমে যাওয়া, পলি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়া, মাছের উপর নেতিজনক প্রভাব, বনভূমি প্লাবিত হওয়া এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের নদীগুলোতে জলের প্রবাহ কমে যাবে।

গত প্রায় এক দশক আগে বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টির) সরকারের প্রস্তাবিত উচ্চাভিলাসী এবং বিতর্কিত সেই নদী সংযোগ প্রকল্পটি এবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলে আবারো একধাপ এগিয়ে গেল। যাকে শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা একটি ধ্বংসাত্বক, অবৈজ্ঞানিক ও উদ্বেগজনক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করে আসছেন।

প্রস্তাবিত এ মেগা প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক প্রকৌশল কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে পূর্ব ভারতের গঙ্গা ও ব্রক্ষপুত্র নদী থেকে জল অপসারন করে পশ্চিম ও মধ্য ভারতের জল সংকটপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে জলপ্রবাহ বাড়ানো হবে। আর এর জন্য তৈরি করা হবে জলাধার, বাঁধ এবং প্রায় ১৪,০০০ কিলোমিটার খাল। বিজেপি সরকার প্রকল্পটিকে ভারতে ফি-বছর বন্যা আর খরার এক সমাধান বলে একে প্রচার করছে।

জলের সংকট নিরসনে ভারতকে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের উপরেই ভরসা করতে হয়। বিষয়টি এমনই যে একটি খারাপ বর্ষা মৌসুম গোটা ভারতে অর্থনীত এবং কৃষির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। দেশটিতে বার্ষিক সর্বোচচ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে জুন – সেপ্টেম্বর মাসে। অন্যদিকে এ বৃষ্টিপাতের পরিমান দেশের একেক জায়গায় একেক রকম।

প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট অসম জলের প্রবাহ বিভিন্ন নদী-নালার মধ্যে সমবন্টন নিশ্চিত করা। অর্থাৎ জলের সংকট আছে এমন স্থানগুলোতে জলের সংস্থান নিশ্চিত করা। অথচ প্রকল্পটি নিয়ে পরিবেশবাদী এবং জল বিশেষজ্ঞগন বেশ আপত্তি জানিয়ে আসছেন প্রথম থেকেই। একইসঙ্গে এ প্রকল্পটি একটি মারাত্বক পরিবেশগত দূর্যোগের কারন হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা। বাজপেই-এর পরবর্তী সরকার হিসাবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২০০৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রকল্পটি স্থগিত করে। বর্তমানে বিজেপি সরকার আবারো নির্বাচিত হবার পর প্রকল্পটি নতুন করে প্রান ফিরে পায়।

জল-সম্পদ-মšী¿ উমা ভারতি প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নর জন্য পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান করে বলেন, “আগামি ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে সকল (৩০টি) নদীগুলোর সংযুক্তিকরন এই প্রকল্পের আওতায় শেষ হবে, যাতে রাজ্যগুলো একমত পোষন করেছে।” তিনি আগামী ২০শে নভেম্বর তিনদিনব্যাপী একটি আলোচনা সভার আহবায়ন করেছেন, যার মধ্যে একদিন শুধু নদী সংযুক্তিকরন প্রকল্পটি নিয়েই আলোচনা হবে। জলসম্পদ মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই কার্যপ্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিবেশবীদ এবং সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা জানিয়েছে তা নিরসনের একটি চেষ্টা করা হবে। ”

সারা দেশে এই ৩০টি নদী সংযুক্তকরন প্রকল্পটি সম্প্রসারিত, এর মধ্যে ১৬টি স্থাপন করা হবে পেনিনসুলা অঞ্চলে আর বাকি ১৪টি গঠিত হবে হিমালয় অঞ্চল জুড়ে, যার ফলে ১৭০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার জল সম্প্রসারিত হবে বিভিন্ন নদীতে। এছাড়াও একাধিক অন্যান্য অন্তরাজ্য নদীসমূহের সংযুক্তিকরন প্রকল্পটিতে পর্যায়ক্রমে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।

Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.

Strictly Necessary Cookies

Strictly Necessary Cookie should be enabled at all times so that we can save your preferences for cookie settings.

Analytics

This website uses Google Analytics to collect anonymous information such as the number of visitors to the site, and the most popular pages.

Keeping this cookie enabled helps us to improve our website.

Marketing

This website uses the following additional cookies:

(List the cookies that you are using on the website here.)