শক্তি

ভারতের গণপরিবহন সেক্টরে শূণ্য নির্গমন নিশ্চিত করতে পারে বৈদ্যুতিক বাস

দেশের বেশ কিছু রাজ্য যেভাবে বিদ্যুত চালিত বাস বা বৈদ্যুতিক বাসের প্রচলনকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছে, তাতে সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের যানবাহনের জন্য একটি সার্বজনীন চার্জিং অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে
বাংলা
<p>কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে বৈদ্যুতিক বাসে চলাচল করছেন ভারতের কোলকাতা শহরের এক বাসিন্দা (ছবি: সুদীপ্তা দাস/প্যাসিফিক প্রেস/ এলামি লাইভ নিউজ) </p>

কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে বৈদ্যুতিক বাসে চলাচল করছেন ভারতের কোলকাতা শহরের এক বাসিন্দা (ছবি: সুদীপ্তা দাস/প্যাসিফিক প্রেস/ এলামি লাইভ নিউজ)

এটা বলাই যায় যে ভারত কার বা ব্যক্তিগত গাড়ির দেশ নয়। এদেশের জনগণ রিকশা, স্কুটার, সাইকেল/মটরবাইক কিংবা পাঁয়ে হেঁটেই মোটামুটি চলাফেরা করে থাকে। বেশিরভাগ ভারতীয়র কাছে ব্যক্তিগত গাড়ি (কার) অত্যন্ত বিলাসবহুল হিসেবেই বিবেচিত হয়, আর বৈদ্যুতিক গাড়ির কথা তো বলাই বাহুল্য যা ধনী দেশের জনগনের জন্যই বিলাসবহুল যানবাহন হিসেবে গণ্য। একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯৫ শতাংশ পরিবারেরই  কমপক্ষে একটি করে ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে, অন্যদিকে ভারতের প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে মাত্র ৩০টি গাড়ির নিবন্ধন  হয়ে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে ভারতে যানবাহন তথা গতিশীলতা ব্যবস্থায় নির্গমন মাত্রা হ্রাসে সম্পূর্ণ নতুন ও ভিন্ন একটি কর্মকৌশল প্রনয়ন করা প্রয়োজন। গণপরিবহন  বিশেষ করে বৈদ্যুতিক বাসের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হলে সূলভে অধিক পরিমান যাত্রী বহনের সুযোগ উন্মোচিত হবে।

রাজ্য-নিয়ন্ত্রিত বাস কর্পোরেশনগুলো তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক বাসের বহর প্রসারিত করার ক্ষুদ্র প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ নাগাদ ভারতের সড়কে ই-বাসের সংখ্যা ছিল প্রায় ১,১০০ (এফএএমই -২ এর আওতায় মিনি ই-বাসসহ ৫,৫৯৫ ইউনিটের অনুমোদন দেয়া হয়)। ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা চারগুন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এফএমইএ-২ কী?

২০১৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুত চালিত দুই ও তিন চাকার যান, হাইব্রিড এবং বিদ্যুত চালিত কার ও বাসের প্রচলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎসাহ দিতে ভর্তুকি প্রদানে ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অব হাইব্রিড অ্যান্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেলস (এফএএমই) শীর্ষক একটি স্কিম চালু করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে এই স্কিমটির আরো বৃহত আকারে পরিচালনার ঘোষণা দেয়া হয়। এর ফলে বিদ্যুত চালিত যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রনোদনা এবং চার্জিং অবকাঠামোর উন্নয়ন ও প্রসারের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়।

ই-বাসের চাহিদা বেড়েই চলেছে

সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে গণপরিহন সেক্টরের কার্বন নির্গমন মাত্রা দ্রুততার সাথে কমিয়ে আনা সম্ভব।  সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকার সাফল্যের সাথে এ ধরনের উদ্যোগ সম্পন্ন করেছে। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে দিল্লি ও আর আশেপাশের স্যাটেলাইট শহরগুলোর মধ্যে বিস্তৃত ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন বা এনসিআর আওতাভূক্ত সড়কগুলোতে চলাচলকারী সকল ডিজেল চালিত বাসগুলোকে স্বল্প দূষণকারী কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বা সংকুচিত  প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) চালিত যন্ত্রে রুপান্তর করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এরই মধ্যে বেশ ভালো ভাবেই দেখিয়ে দিয়েছে যে এটি সর্বোতভাবে সম্ভবপর একটি কাজ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ৮০টি বৈদ্যুতিক বাস নিয়ে একটি বহর গঠন করে এবং মোটামুটি সফলভাবেই তা পরিচালনা করে আসছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বহরের পরিধী দ্বিগুনে উন্নীত করার কথা ভাবছে রাজ্যটির সরকার।

ভারতের আরো বেশ কিছু রাজ্য যেমন- দিল্লি (৩০০), গোয়া (১৫০),চণ্ডিগড় (৮০), উত্তর প্রদেশ (৭০০),তামিলনাড়ু – (২,০০০) এবং গুজরাট তাদের নিজ নিজ বহরের একটি ক্ষুদ্র অংশের বিদ্যুতায়নের করার কাজ শুরু করেছে।

টাটা মটরসের বাস উৎপাদন শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোহিত শ্রিভাস্তব বলেন, সারাবিশে^ বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত গণপরিবহনের প্রধান অংশই হচ্ছে বৈদ্যুতিক বাস বা বিদ্যুতচালিত যানবাহন, যা গণপরিবহনে সার্ভিসে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের  যানবাহনের প্রায় ২০ শতাংশ। সরকার যথাযথ নীতি প্রনয়ন ও প্রনোদনা চালুর ফলে ভারতীয় বাজারেও একই ধরনের ধারা পরীলক্ষিত হচ্ছে। কারন সরকার এমুহুর্তে দেশের গণপরিবহনে ধরনে পরিবর্তন আনতে বিদ্যুত চালিত যানের উপরে জোর দিচ্ছে, আর এতে ই-বাসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।

এমনকি সারাদেশে ব্যাপকভিত্তিতে গণপরিবহন সেক্টরে পূর্ণাঙ্গভাবে বিদ্যুতায়ন সম্পন্নের আগেই পুরো প্রক্রিয়া থেকে নিরুপনযোগ্য পরিবেশগত সুবিধা অর্জন করা সম্ভব, গনপরিবহনকে বিদ্যুতায়নের মধ্য দিয়ে উদ্দীপনা বা বিশেষ প্রণোদান মাধ্যমে ছোট কার গাড়ির চেয়ে স্বল্প ব্যয়ে একটি চার্জিং অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব।  এই এটি বাস্তবায়নের আগে এখাধিক জটিল প্রক্রিয়া রয়েছে  যেগুলো আগেই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। 

বৈদ্যুতিক বাসের মালিকানায় মূল্য কত

একটি বৈদ্যুতিক বাস বহর অর্জন ও পরিচালনা মোটেও সহজলভ্য নয়, বিশেষ করে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বর্তমান বাজার দর বিবেচনা করলেই এটি প্রতীয়মান হয়। কিয়ারনি ইন্ডিয়া নামে একটি ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অংশিদার রাহুল মিশ্র বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য যদি হয় কার্বন পদচিহ্নের হ্রাসকরণ, তাহলে বেশকিছু প্রযুক্তি এরই মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। বৈদ্যুতিক যানবাহনের পাশাপাশি আমাদের সামনে আরো যেসব বিকল্প রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সিএনজি, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, জ্বালানী কোষ, হাইড্রোজেন এবং অনেক কিছু। তিনি বলেন, আসলে দিন শেষে গণপরিবহন খাতে পরিবর্তনের এই যে যাত্রা তার আর্থিক ব্যয়ের মাত্রা নির্ধারিত হবে এই সংক্রাস্ত সঠিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে।

Tata Motors showcase their Starbus electric commercial vehicle at Auto Expo 2018 in Greater Noida, India [image: Alamy]
২০১৮ সালে ভারতের বৃহত্তর নয়ডায় আয়োজিত অটো এক্সপোয় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারযোগ্য নিজেদের বিদ্যুত চালিত বাহন স্টারবাস প্রদর্শন ফাটা মটরস  (ছবি: এলামি)

একাধিক প্রতিবেদন ও গবেষনায় দেখা গেছে তুলনামূলক বিচারে ডিজেল চালিত বাসের তুলনায় বৈদ্যুতিক বাস পরিচালনার ফলে বাসের মালিকানা ব্যয় কমপক্ষে ১৫-২০ শতাংশ হ্রাস পায়। বর্তামনে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি যে গতি অব্যাহত রয়েছে তাতে আগামী দিনগুলো এই দুই ধরনের যানবাহনের মধ্যে পরিচালন ও মালিকানা সংক্রান্ত কেবল বাড়তেই থাকবে যা ধারণা করা যায় শেষ পর্যন্ত ই-বাসের পক্ষেই জোরালো হবে।

চার্জ করার অবকাঠামোর মানদণ্ড

গণপরিবহনের ক্ষেত্রে বাসের জন্য একটি সহজাত সুবিধা হচ্ছে এই ধরনের যানের চলাচলের জন্য একটি নির্দিষ্ট পথ বা রুট অনুসরণ করা হয়। তাই বৈদ্যুতিক বাস চলাচল নির্বিঘœ করতে প্রতিটি রুটের শুরুতে এবং গন্তব্যের শেষ প্রান্তে দুইটি চার্জিং পয়েন্ট স্থাপনই যথেষ্ট। এই ব্যবস্থাটি করা গেলে বৃহত আকারে ছড়িয়ে পড়া ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য চার্জিং পয়েন্ট স্থাপনের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসবে।  

ভারতে জীবাশ্ম-জ্বালানী দ্বারা চালিত যানবাহনের পরিবর্তে চার্জি অবকাটামো নির্মান করা গেলে দুরপাল্লায় যাতায়াতের জন্য বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা চালিত যানবাহন প্রচলন সহজতর হবে। সরকারী তথ্য মতে বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ২০০০ চার্জি স্টেশন রয়েছে যার বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি বা কারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো আবার কোনো একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডে পরিচালিত হয়না।

একটি চার্জিং স্টেশনকে বাড়িতে বিভিন্ন ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা যে সকেট ব্যবহার করে থাকি তার সঙ্গে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চার্জিং স্টেশনকে এক করে দেখলে চলবে না। এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রযুক্তি। চার্জিং ষ্টেশনের মধ্যে নানা ধরনের বৈচিত্র্য রয়েছে, এগুলো এমন সব যানবাহনকে চার্জ করার কাজে ব্যবহৃত হয় যার মাধ্যমে ৭ কিলোওয়াট থেকে ৩৫০ কিলোওয়াট বৈদ্যুতিক চার্জ প্রদান করা হয়। এ ধরনের প্রযুক্তি আবার বেশ ব্যয়বহুল: একটি ভালো মানের চার্জিং ষ্টেশনের মূল্য প্রায় ৩৫০,০০০ মার্কিন ডলার।  এর অর্থ হচ্ছে এইসব চার্জিং পয়েন্ট থেকে যত বেশি বাস চার্জ গ্রহন করবে ততবেশি বাসের জন্য খরচ সস্তা পড়বে। 

এ অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট মানদ- নির্ধারণ করা গেলে সারাদেশে স্থানীয় পর্যায় থেকে সর্বত্র একটি সুবিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ই-বাসের জন্য একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে মাকিৃন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং চীনের বাজারের প্রচলিত সরাবরাহকারীদের সাথে পাল্লা দিয়ে এই প্রযুক্তি প্রচলন করা দূরহ হয়ে পড়বে।  মটর শিল্পের সাথে জড়িত একটি জেষ্ঠ্য সূত্র যিনি আবার একটি সমন্বিত চার্জিং মানদ- তৈরির কাজে সরকারের সাথে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন তিনি বলেন, স্থানীয় ভাবে তৈরি একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা এই খাতে একটি মান সংযোজন করতে সক্ষম হবো এবং ধীরে ধীরে এর জন্য একটি নিজস্ব বাজার তৈরি হবে যাতে দেশীয় প্রয়োজনের সাথে সমন্বয়ের সুযোগ থাকবে।

ব্যাপক সম্ভাবনার মুখে ই-বাস

সাম্প্রতিক সময়ে লিথিয়াম আরবান টেকনোলজি পরিচালিত একটি  জরীপে দেখা যায় যদিও করোনার এই মহামারীর সময় বেশিরভাগ মানুষই গণপরিবহনের পরিবর্তে নিজস্ব/ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করলেও একটি টেকসই ও স্থায়িত্বশীল পরিবহন সেবার চাহিদা যেকোনো সময়ের চেয়ে এখনও অনেক বেশি। এটি চায়নার বাইরে বিশে^র সবচেয়ে বড় বৈদ্যুতিক গাড়ির বহরের অধিকারী এবং ভারতের মধ্যে সর্বপ্রথম জিরো-এমিশন (শূণ্য নির্গমন) সেবার প্রবক্তা।

এই জরীপে ভারতের সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিত ব্যাঙ্গালোরের প্রতিশ্রুতিশীল টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে পরিচালিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেছে। এর মধ্য দিয়ে আরো একটি বিষয় পরিস্কার হয়েছে যাতে দেখা যায় টেকসই পরিবহন সেবার প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। জরীপে অংশ নেয়া ৮৮ শতাংশ মানুষ বলেন বৈদ্যুতিক যানবাহনের নিশ্চয়তা পেলে তারা অবশ্যই অফিসে যাতায়াতের জন্য সেই ধরনের যানবাহনই তারা ব্যবহার করনে।

প্রয়োজন সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা

ভারতের দূষিত নগরীগুলোর কার্বনের মাত্রা হ্রাসের দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা রয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি বা পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে ভারতের রাজ্য এবং ব্যক্তি পর্যায়ে অভ্যন্তরীন জ¦লন ইঞ্জিনের ব্যবহার থেকে দ্রুত সরে আসতে সক্ষম হবে। কঠোর নির্গমন নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে এটি নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের পরিবহন ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করলে সর্বপ্রথম বাস সার্ভিস নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। এটি আসলে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর যোগাযোগের জন্য একমাত্র সহনীয় মাধ্যম, তাছাড়া ভারতের মহানগরীর প্রান্তভাগে পৌছানোর জন্য গণপরিবহনই হচ্ছে একমাত্র পছন্দের  পরিবহন ব্যবস্থা। আন্ত:নগর বাস সেবাও ভারত জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের দৈনিক যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আর তাই একথা সহজেই বলা যায় যে দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় বিদ্যুতায়নের ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য ও বিস্তৃত চার্জিং অবকাঠামো অত্যন্ত প্রয়োজন। দেশে বৈদ্যুতিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অচিরেই হয়ত এই দাবী একটি আন্দোলনে পরিণত হতে পারে!