পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত ডুয়ার্সের ছোট একটি গ্রামের নাম ভুটিয়া বস্তি। ভারতের সেই গ্রামটিতে বসবাস ৪০ বছরের বিধবা নারী গীতা ছেত্রী। নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করেন গীতা। পাশের গ্রামের নাম জয়ন্তী। সেখানে ছয় কক্ষের একটি বাড়িতে নিজের চাচাদের সাথে হোমস্টে পরিচালনা গীতার একমাত্র ছেলে বাদল। হোমস্টে হচ্ছে নিজেদের বাড়ি পুরোটা বা আংশিক বাণিজ্যিকভাবে অতিথীদের থাকার ব্যবস্থা। দুটো গ্রামই বক্সা টাইগার রিজার্ভ-এর (বিটিআর) মূল এলাকার মধ্যে পড়ে, যেখানে গত বছর ডিসেম্বরে (২০২১) একটি বাঘ (বেঙ্গল টাইগার) জনসমক্ষে দেখা যায়। এখানকার গ্রামগুলোতে এমন ঘটনা গত ২৩ বছরের মধ্যে প্রথম।
ছেত্রীকে এখন তার ছেলের কাছ থেকে হয়ত কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে বসবাস করতে হতে পারে। বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্বের ঝুঁকি কমাতে সরকার ভুটিয়া বস্তির গ্রামবাসীদের বিটিআর এলাকার বাইরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনিয়ে সেই গ্রামের জনগনের সম্মতি সম্মতিও গেছে বলে দাবী করছে সরকার। তবে জয়ন্তী গ্রামের জন্য এমন কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। তাই গীতা ছেত্রী এখন তার ছেলের কাছে গিয়ে পাশের জয়ন্তী গ্রামে গিয়ে বসবাস করলে স্থানান্তরের জন্য হয়ত কোনো ক্ষতিপূরণই পাবেন না।
দেশের বাঘ সংরক্ষণের মূল এলাকার আশেপাশে বসবাসকারী জনগণকে বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্ব এড়াতে অন্যত্র স্থানান্তর করার লক্ষ্যে ভারত সরকারের যে প্রকল্প রয়েছে তার শর্ত অনুসারে যে কোনো স্থানান্তর অবশ্যই স্বেচ্ছায় হতে হবে এবং তা তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বনবাসী (বন অধিকারের স্বীকৃতি) অ্যাক্ট ২০০৬ আইন অনুযায়ি হতে হবে। যে কােন ধরনের স্থানান্তর বা পূনর্বাসন অবশ্যই গ্রাম কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে স্বাধীন এবং পূর্ণ সম্মতিতে হতে হবে। পাশাপাশি বাঘ-মানুষ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল বিকল্পগুলো পর্যালোচনার পর সর্বশেষ বিকল্প হিসেবেই কেবল পূনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচিত হবে।
বিটিআর-এর মূল এলাকা থেকে মানুষের স্থানান্তরের বিষয়টির একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে – তবে এর বেশিরভাগই ব্যর্থতার। যাহোক, গত বছর (২০২১) এপ্রিলে বিষয়টি আবারো আলােচনায় আসে যখন ভারত সরকার দেশের বাঘ সংরক্ষণের মূল এলাকা থেকে স্থানীয়দের স্বেচ্ছায় পূনর্বাসনের জন্য ক্ষতিপূরণ একটি পরিবার বা একজন পূর্ণ বয়ষ্ক ব্যক্তির পরিবারের জন্য এক মিলিয়ন রুপি (১৩,৩৫০ মার্কিন ডলার) থেকে বাড়িয়ে ১.৫ মিলিয়ন রুপিতে (২০,০০০ মার্কিন ডলার) উন্নীত করে। গত সেপ্টেম্বরে, পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ভুটিয়া বস্তি এবং গাঙ্গুটিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে এনিয়ে আবার আলোচনা শুরু করে। সেখানে উল্লেখিত বিটিআরটি অবস্থিত। বিষয়টি আরো ত্বরান্বিত হয় যখন ক্যামেরা ট্র্যাপের মধ্য দিয়ে গত ডিসেম্বরে একটি বাঘের দেখা মেলে।
বাঘের দেখা পাবার পরই সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশাধিকার বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিষয়টি ত্বরান্বিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী জ্যোতি প্রিয়া মল্লিক দ্য থার্ড পোলকে বলেন, ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়া বাঘটি একটি স্ত্রী বাঘ এবং আমরা বাঘটির সাথে শাবকের থাকার প্রমাণ পেয়েছি। এখন মানুষ যদি মূল এলাকার ভিতরে প্রবেশ করতে থাকে, তাহলে হয়ত বাঘটি মারা যাবে অথবা বাঘ কাউকে হত্যা করবে।
যাই হোক, সংরক্ষিত এলাকার ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের ফলে জয়ন্তীবাসীদের আয়ের প্রধান উৎস ব্যাহত হবে যা গত এক দশকে দেশের পর্যটন গন্তব্য হিসাবে বিকাশ লাভ করেছিল। তবে এই শিল্পটির উত্থান কেবল শুধু সরকারের জন্যই নয় বরং পরিবেশবাদীদের কাছেও একটি ভাবনার বিষয় হয়ে উঠেছিল।
পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ
ভুটিয়া বস্তির আরেক বাসিন্দা হিমেল ছেত্রী বলেন, আরও কিছু কারণ আছে যা ভুটিয়া বস্তির বাসিন্দাদের বিটিআরের বাইরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে আরো প্ররোচিত করতে পারে।
দ্য থার্ড পোলকে তিনি বলেন, ভুটিয়া বস্তির সকল বাসিন্দাই পূণর্বাসনে আগে থেকেই আগ্রহী ছিল। কারণ জয়ন্তী নদীর বন্যা প্রতি বর্ষায় তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। তবে পূনর্বাসনের প্রস্তাবটি জয়ন্তী গ্রামের বাসিন্দাদের জন্যেও উন্মুক্ত রাখা উচিত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান ভুটিয়া গ্রামে ৩৩টি পরিবারের বসবাস যেখানে গাঙ্গুটিয়ায় ৩০১ এবং জয়ন্তীতে ৩০০ পরিবার বসবাস করে।
জয়ন্তীর বাসিন্দা স্পন্দন ভৌমিক দ্য থার্ড পোলকে বলেন, হোমস্টে পরিচালনা, সাফারি এবং ট্রেক আয়োজন করা আমাদের জন্য একটি নিয়মিত প্রধান আয়ের একটি উৎস। সরকার যদি বিকল্প আয়ের পরিকল্পনা নিশ্চিত না করে তবে আমরা এককালীন ক্ষতিপূরণ দিয়ে কী করব? স্পন্দন এবং তার বড় ভাই মিলে নদীর ধারে চার কক্ষের একটি হোমস্টে পরিচালনা করেন।
জয়ন্তীর আরেক বাসিন্দা সুস্মিতা ভট্টাচার্য (৪০) একজন গৃহিণী। তিনি বলেন, পূনর্বাসন নিয়ে আমাদের গ্রামবাসী সরকারের প্রস্তাব বিবেচনার জন্য প্রস্তুত ছিল। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই প্রস্তাবটি বিবেচনা করব তবে সরকারকে প্রথমে আমাদের কাছে আসতে হবে। আমাদের কাছে বিষয়টি এখন সন্দেহজনক মনে হচ্ছে কারণ সরকার বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ভুটিয়া বস্তি এবং গাঙ্গুটিয়ার গ্রামবাসীদের সাথে যোগাযোগ করেছে কিন্তু আমাদের গ্রামের বিষয়টি তারা এড়িয়ে গেছে।
সরকার প্রথমে ২০০৮ সালে জয়ন্তী গ্রামে পূনর্বাসনের চেষ্টা করে। তখন বন কর্মকর্তারা স্থানীয়দের একটি পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীকালে, বেশিরভাগ গ্রামবাসী দুই শর্তে সম্মতিপত্র জমা দেয় – একই দিনে গ্রামের সবাইকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের রসিদ এবং স্থানীয় পাবলিক সার্ভিসে নিযুক্ত ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক পুনর্বাসন পরিকল্পনার অগ্রিম তথ্য। যাই হোক, সমস্ত গ্রামবাসী তাদের সম্মতিতে স্বাক্ষর না করায় স্থানান্তরটি বাস্তবায়িত হয়নি বলে মনে করেন সুষ্মিতা ভট্টাচার্য। তিনি মনে করেন এরপর থেকেই জয়ন্তীর বাসিন্দাদের পূনর্বাসনের বিষয়টি মাটি চাপা পড়তে শুরু করে।
সুষ্মিতা বলেন, আমাদের মনে সন্দেহ যে সরকার এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে যাতে গ্রামবাসী এমনিতেই পূনর্বাসনে সম্মত হতে বাধ্য হয়। আমাদের আগে জেএল নম্বর ছিল (জমির প্লটের মালিকানা চিহ্নিত করার জন্য প্রদেয় একটি নম্বর)। কিন্তু সরকার সম্প্রতি সেগুলিকে তার রেকর্ড থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সরকারী নথিতে আমাদের পোস্টাল কোড আর আমাদের গ্রাম দেখািয়ে বরং এই এলাকাকে জয়ন্তী চা বাগান হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এখানকার নদীর তলদেশ পলিতে ভরাট হয়ে নাব্যতা হরিয়েছে। প্রতি বর্ষায় আমাদের গ্রামটি প্লাবিত হয় কিন্তু সরকার নদীর গভীরতা পুনরুদ্ধারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
পূনর্বাসনের জন্য গ্রামবাসীকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আসলে জয়ন্তীর গ্রামবাসীদের মধ্যে আগে মতবিরোধ ছিল। আমরা প্রথমে ভুটিয়া বস্তি এবং গাঙ্গুটিয়ার জন্য প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করব। জয়ন্তী এবং আরও কয়েকটি গ্রামের সাথে পরে যোগাযোগ করা হবে।
কদাচিৎ মেলে বাঘের দেখা
বক্সাকে ১৯৮৩ সালে বাঘের জন্য একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হলেও বিপন্ন এই প্রানীটির দেখা সেখানে বলতে গেলে একদমই বিরল। এখানকার বনভূমি সমতল থেকে ১,৭৫০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০২১ এর ডিসেম্বরের আগে সর্বশেষ বাঘ দেখা গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তবে বাঘের শব্দ বা মলমূত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। ২০০৬ সালে, ভারতে প্রথমবারের মতো বাঘ শুমারির সময় বলা হয় বক্সায়৮ থেকে ১২টি বাঘ থাকতে পারে। ২০১০ সালে জাতীয় বাঘ শুমারিতে কোনো বাঘেই রেকর্ড করা হয়নি এবং ২০১৪ সালে শব্দ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মাত্র তিনটি বাঘের উপস্থিতি রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কোন বাঘ রেকর্ড করা হয়নি।
২০১৮ সালের শুমারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রতিবেশী রাজ্য আসামের কাজিরাঙ্গা বনাঞ্চল থেকে বাঘের পুনঃপ্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বক্সাকে পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে। পরবর্তীকালে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাঘের শিকারের ঘাঁটি বাড়ানোর ব্যবস্থা নেয় এবং বাংলার গন্ডার এবং চিতাবাঘের বিনিময়ে বাঘের জন্য আসামের সাথে আলোচনা শুরু করে।
কিছু পরিবেশবাদীরা অবশ্য বলছেন, বিটিআর-এর মূল এলাকার বাস্তুসংস্থান মূলত পর্যটনের বিকাশের কারণে এখন হুমকির মুখে। সেইসাথে যানবাহন চলাচল, বাণিজ্যিক পর্যটনের জন্য দালানকোঠা নির্মাণের ফলে বনভূমি ধ্বংসের দিকে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত ২০১৬ সালে এনিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করেন ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে (এনজিটি)। এটি পরিবেশ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি বিশেষ আদালত। মামলায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরের একটি আদেশে এনজিটি বলেছিল, এই আদালত… বক্সা টাইগার রিজার্ভের মূল অঞ্চলে নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। তবে এসব স্থাপনা/রিসোর্ট বন্ধের পরিবর্তে আরো নতুন নতুন স্থাপনা নির্মান এগিয়েই চলছে।
এর পরপরই সরকার জয়ন্তীতে নির্মাণাধীন তিনটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এনজিটি হোমস্টে অপারেটরদের দ্বারা করা একটি আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে যে কেউ তাদের জমির প্লট সনাক্তকরণ নম্বর সরবরাহ করতে পারেনি।
মতামতের ভিন্নতা থাকলেও অনেক বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে বাঘের প্রাকৃতিক আবাসস্থল পুনরুত্থিত হওয়ার জন্য মানুষের বসতি সংরক্ষিত এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া উচিত। জয়দীপ কুণ্ড বেসরকারী সংস্থা সোসাইটি ফর হেরিটেজ অ্যান্ড ইকোলজিক্যাল রিসার্চের প্রধান। তিনি বলেন, রণথম্বোর টাইগার রিজার্ভ থেকে মানুষের বসতি সরিয়ে নেয়অর পর সেখানকার উদ্ভিদ এবং বন্যপ্রানীর বিকাশ ঘটেছে এবং একই চিত্র দেখা গেছে সারিস্কা টাইগার রিজার্ভে (দুটো বনাঞ্চলই পশ্চিম ভারতের রাজস্থান রাজ্যে অবস্থিত)। মানুষের হস্তক্ষেপ বাদ দিলে বনভূমি তার স্থান পুনরায় ফিরে পায়।
বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, একজন সংরক্ষণবাদী এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ। তিনি বেসরকারী সংস্থা নেচার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সোসাইটির সেক্রেটারি। তিনিও একই ধারণা পোষণ করে বলেন, যদি এমনও হয় যে বাঘটি ভুটান থেকে পথ হারিয়ে বক্সায় এসেছে, তারপরেও আমাদের উচিত যাতে এমনটি ঘটতে থাকে। এর ফলে সেখান থেকে বাঘ এখানে আসতে থাকবে এবং ধীরে ধীরে এখানে বসতি স্থাপন করবে। এজন্য বনের পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।
তবে ডব্লিউডব্লিউএফ ইন্ডিয়ার বাঘ সংরক্ষণের জাতীয় সমন্বয়ক প্রণব চঞ্চনী এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি বাঘের পুনরাবির্ভাব একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে, এমনকি তার বর্তমান অবস্থায়ও, বক্সায় বাঘের জনসংখ্যাকে আশ্রয় দেওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাঘ বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত হতে পারে, যেখানে হয়ত মানুষের বসতবাড়ি বাঘের আবাসস্থলের মধ্যেই থাকে। তাই মানুষকে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে স্থানান্তরই বাঘ সংরক্ষণের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।
বক্সার ক্ষেত্রে, (পূনর্বাসন) এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের পরিকল্পনা করার আগে, বাঘ-মানুষ সহাবস্থানকে উন্নীত করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করা দরকার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্থানান্তর করা অপরিহার্য কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য একটি কঠোর মূল্যায়ন করা দরকার বলে মনে করেন ডব্লিউডব্লিউএফ-ভারতের বাঘ কার্যক্রমের প্রধান প্রণব।
তিনি বলেন, এই ধরনের প্রস্তাবগুলি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট অধিবাসীদের অধিকার এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে, যা অবশ্যই এই জাতীয় পরিকল্পনার জন্য তাদের স্বাধীন এবং মুক্ত মতামত/সম্মতির মাধ্যমেই কেবল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।