দূষন

সরকারী ভাষ্য: ভারতে নিঃশ্বাসে ছড়াচ্ছে মৃত্যু

এই প্রথম বায়ু দূষণে মৃত্যুর ঘটনার কথা স্বিকার করলো ভারত সরকার । গত নয় বছরে এই ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ হাজার বলা হলেও ধারনা করা হচ্ছে এটি সার্বিক চিত্রের একটি সামান্য অংশ মাত্র । প্রশ্ন হচ্ছে,  সরকার কি তবে এই বিপদ মোকাবেলায় সঠিকভাবে কাজ করছে?
<p>Face masks to escape air pollution are increasingly common in Indian cities</p>

Face masks to escape air pollution are increasingly common in Indian cities

বায়ু দূষনের হাত থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক এঁটে রাস্তায় হাটাচলার দৃশ্য ভারতের বড় শহরগুলোতে এখন একটি স্বাভাবিক দৃশ্য । সরকারীভাবেও বিষয়টিকে মেনে নেয়া হয়েছে । বায়ুদূষণ এখন ভারতে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে শুরু করেছে । সরকার এখন একথা স্বিকার করেছে যে গত নয় বছরে বায়ুদূষণে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভূগে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে ।

সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় একটি লিখিত বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার বলেন,  ২০০৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমনে ৩৫,৬১৬ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে । পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভিত্তিতে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের ঘটনা লীপিবদ্ধ করা হয়েছে । এই ঘটনার সংখ্যা ২৬ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে । সরকার বরাবরই বায়ুদূষনের সাথে হৃদরোগ ও ফুসফুসে সংক্রমনজনিত রোগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বিকার করে আসলেও এই প্রথম বায়ু দূষণকে মারাত্বক কিছু রোগের কারণ হিসেবে মানতে রাজী হয়েছে।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে সরকারের ঘোষনা করা সংখ্যার চেয়ে বায়ু দূষনের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি । বেশ কিছু স্বত্যন্ত্র গবেষনায় দেখা গেছে এই ধরনের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাস্তবে সরকার ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি । দিল্লিভিত্তিক গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) পরিচালিত এক গবেষনায় বলা হয়েছে কেবল ২০১০ সালেই ৬২০,০০০ অকাল মৃত্যু বা শিশু মৃত্যুর ঘটনা ভারতে ঘটেছে যার পিছনে অন্যতম কারন হলো বায়ু দূষনের ক্ষতিকর প্রভাব । ২০১৩ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজ রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয় । এতে আরো বলা হয় ২০১০ সাল থেকে এই ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা ছয়গুন বেড়েছে।এ মুহুর্তে মৃত্যুর কারন হিসেবে ভারতে বায়ু দূষন পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে । আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে দেশটির রাজধানী দিল্লি । চলতি বছর জুন মাসে এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি জার্ণালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাতাসে উচ্চমাত্রার দূষনের ফলে দিল্লিতে বছরে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার শিশুর অকাল মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, অর্থাৎ প্রতিদিন এই মৃত্যুর হার গড়ে ৩০টি। সেই হিসেবে গত নয় বছরে যে ৩৫ হাজার মৃত্যুর কথা সরকার বলছে তাকে অস্বাভাবিক কম বলেই মনে করা হচ্ছে।

যদিও গত জুলাইয়ে সংসদে এ তথ্য জানিয়েছিলেন জাভাদেকার কিন্তু পরবর্তীতে একে মানতে রাজী হননি। তবে কি সরকার গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টিকে খাটো করে দেখতে চাইছে ?

সিএসইÕর গবেষনা ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক অনুমিতা রয় চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন দ্যথার্ডপোল.নেট এর সাথে । তিনি বলেন, আমরা বিষয়টিকে যেভাবে দেখছি তা হচ্ছে  – সরকার এনিয়ে প্রথম থেকেই নেতিবাচক অবস্থানে ছিল । আমরা কখনই সরকারের পক্ষ থেকে জানতে পারিনি যে বায়ু দূষণের ফলে কী পরিমান মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ।এবার অবশ্য পুরো বিষয়টিকে অস্বিকার না করলেও একটি সংখ্যা তারা প্রকাশ করেছে ।এর অর্থ হচ্ছে,  সরকার বলতে চাইছে যে বায়ু দূষণের ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে ঠিকই, তবে হয়ত যতটুকু বলা হচ্ছে ততটুকু নয়!

তিনি বলেন,  আমরা কোনোভাবেই বুঝতে পারছি না সরকার এমন একটি সংখ্যা (৩৫হাজার) কোত্থেকে পেলো! এ ধরনের একটি তথ্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে সরকার কার্যত আমাদের গবেষনার ফলটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে । আমাদের ওই গবেষনায় বলা হয়েছিল দিল্লিতে প্রতিদিন এ সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৮০।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)  ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ি বায়ু দূষনের দিক থেকে সারা বিশ্বে ভারতের অবস্থান শীর্ষে । বিশ্বের ২০টি শীর্ষ দূষিত নগরীর মধ্যে কেবল ভারতেই রয়েছে ১৩টি।ওই গবেষনার মূল প্রতিপাদ্য ছিল বায়ুতে ক্ষতিকর পিএম ২.৫ পরিমান নির্ণয় । বায়ুতে ২.৫ মাইক্রোন বা তারচেয়েও ক্ষুদ্র এই কণা ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসে ইনফেকশন, হৃদরোগ, ফুসসফুসের ক্যান্সার এবং অ্যালার্জিসহ নানা ধরনের মারাত্বক ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টি করতে পারে । আর এ ধরনের রোগ হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো । বিশ্বের যে দশটি শহরের বাতাসে ক্ষতিকর পি এম ২.৫ রয়েছে,  তার মধ্যে দিল্লির অবস্থান সবচেয়ে শীর্ষে । এখানে বাতাসে প্রতি এক বছরে প্রতি ঘনমিটার পি এম ২.৫ এর মাত্রা ১৫৩ মিলিগ্রাম, যা কিনা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ছয়গুন বেশি।

 

বিষাক্ততার প্রভাব

দিল্লির অনেক অধিবাসী বলেছেন তারা শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার সময় বাতাসে বিষাক্ততার অবস্থাটা বুঝতে পারেন । আর এই বিষাক্ততার কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী ও শিশুরা ।

দিল্লির শ্রীরাম স্কুলের শিক্ষক মধু ভাটনাগার। তিনি দিল্লিতে গত ২৫ বছর যাবত বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছেন । দিল্লিতে শিশুদের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি। দ্যথার্ডপোল.নেট -এর সাথে আলাপাকালে তিনি বলেন, আমি ১৯৯২ সালে শিক্ষকতা শুরু করি । সেবছর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরী ছিল মেক্সিকো সিটি । এরপর এই তালিকায় যে শহরটি উঠে আসে সেটি হলো বেইজিং । আর এখন এই অবস্থানে রয়েছে আমাদের দিল্লি… এই দূষন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে আমাদের শিশুদের।এখন দেখা যায় প্রচুর শিশু শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, অ্যালার্জি ও হাঁপানির মতো রোগে ভূগছে । সমস্যাটি প্রকট হয় ঋতু পরিবর্তনের সময় । আসলে আমার মনে হয় আমাদের শিশুদের ফুসফুসের অবস্থাটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার কারণ শিশুরাই এই ধরনের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়।

২০১২ সালে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন দপ্তর (সিপিসিবি) এক গবেষনা পরিচালনা করে। সেসময় দিল্লির ৩৬টি স্কুলের ১২ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় । এতে দেখা যায় দিল্লির প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন বড় হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ্য ফুসফুসজনিত সমস্যা নিয়ে ।এ প্রসঙ্গে ভাটনগর বলেন, আমি প্রায়ই দিল্লি থেকে আগ্রা ভ্রমন করি। আগ্রা ভারতের আরেকটি শহর যেখানে দূষনের মাত্রা অনেক বেশি । তিনি বলেন, শহরে প্রবেশ করার আগেই আমি দিল্লির দূষন অনুভব করতে পারি । আপনি বাতাসের সংস্পর্শে এলেই এই দূষনের অবস্থা অনুভব করতে পারবেন । আমি যখনই দিল্লি আসি তখনই আমাকে লজেন্স ব্যবহার করতে হয় আমার গলা পরিস্কার রাখার জন্য। আমাকে প্রতিবারই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হয়।এ সময়গুলোতে আমার গলায় সমস্যা হয়, আমি গলায় এক ধরনের জ্বালা বোধ করি এবং আমাকে বিশ্রামের পরামর্শ দেয়া হয়।

শ্রীরাম স্কুল এমুহুর্তে একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে । এর নাম দেয়া হয়েছে সেভ আর লাংস । এর মধ্য দিয়ে তারা বায়ু দূষনের ব্যাপারে এক ধরনের জনসচেতনতা গড়ে তুলছে । স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা মিলে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে । এরইমধ্যে তারা একটি আবেদনে সই করছে যা শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো হবে। এই আবেদনে স্বাস্থ্য সমস্যা দুরীকরনে প্রধানমন্ত্রীকে অতিসত্বর কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানানো হবে।

এ ব্যাপারে ভাটনগর বলেন, আমরা স্কুলের ঠিক বাইরেই একটি বাতাসের মান নির্ণয়ক স্থাপন করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো যে বাতাসে দূষনের মাত্রা কী অবস্থায় আছে, শীক্ষার্থীদের বাইরে পাঠানো ঠিক হবে কিনা ইত্যাদি।

air pollution poster
A poster made by Anoushka Antony, a student at The Shri Ram School, Aravali, in support of the Save R Lungs campaign

যদিও শ্রীরাম স্কুল বায়ু দূষনের ক্ষতিকর দিকে থেকে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষায় নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এক্ষেত্রে সরকারকে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে।সারাদেশে এনিয়ে সরকারকে ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে।

দেশের বিভিন্ন শহরের বাতাসের মান সম্পর্কে ২০১০ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় দূষন নিয়ন্ত্রন দপ্তর (সিপিসিবি) কিছু ডেটা প্রকাশ করে । সিএসই ওই তথ্য বিশ্লেষন করে জানায় যে দেশের ১৮০টি শহরের মধ্যে মাত্র দুইটি শহরে স্বল্পমাত্রার বায়ু দূষন হয়ে থাকে সালফার ডাই অক্সাইড (SO2), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(  NO2 ) এবং পিএম ১০ থাকার কারনে । ওই বিশ্লেষনে আরো দেখা যায় দেশটির ৮৯টি শহর মারাত্বকভাবে দূষিত । ২০০৫ সালে এমন শহরের সংখ্যা ছিল ৪৯টি।

যানবাহনের দূষন

সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে জাভেদকার দূষন প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন।এই তালিকার মধ্যে রয়েছে ২০০৯ সালের সংশোধিত জাতীয় বায়ুমান মাত্রার নোটিফিকেশন, বায়ুর গুনাগুন নিরীক্ষায় মনিটরিং নেটওয়ার্ক স্থাপন, সিএনজি/এলপিজির মতো অধিকতর বিশুদ্ধ জ্বালানী প্রচলন, মেট্রোর মতো গণপরিবহন চালু, ৬৩টি শহরে ভারত স্টেজ – ৪ (ইউরো ৪ সমতূল্য) নীতি বাস্তবায়ন এবং দেশের অন্যান্য শহরে ভারত স্টেজ – ৩  (ইউরো ৩ সমতূল্য) নীতি বাস্তবায়ন।

তবে বিশেষজ্ঞরা একে পর্যাপ্ত বলে মনে করছেন না। বেইজিংয়ের মতো ভারতের কোথাও নাগরিকদের জন্য এমারজেন্সি অ্যাকশন প্ল্যান (জরুরী ব্যবস্থাপনা) নেই । এ মুহুর্তে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে যানবাহন সৃষ্ট ক্ষতিকর দূষন প্রতিরোধে সরকারের উচিত ব্যাপকভিত্তিক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন ও তার বাস্তবায়ন।

রয় চৌধুরী বলেন, সারাবিশ্ব যেখানে ইউরো ৬ জ্বালানীর কথা ভাবছে সেখানে ভারতের মাত্র কয়েকটি শহরে ইউরো ৪ জ্বালানী নীতি বিদ্যমান । আর অন্যান্য সব শহরে ইউরো ৩ নীতিই মেনে চলা হচ্ছে । ইউরো ৪ এমুহুর্তে ইউরোপীয় মাত্রায় বিবেচনা করলে সাত বছর পিছিয়ে আছে । আর ইউরো ৩ পিছিয়ে আছে কমপক্ষে ১২ বছর।

সরকার আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ইউরো ৫ আর ২০২৪ সালের মধ্যে ইউরো ৬ নীতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে । কিন্তু ভারতের শহরগুলোতে যেই হারে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে এবং যে পরিমান সস্তা ও নোংরা ডিজেল সেগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে,  সে বিবেচনায় বিশেষজ্ঞরা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ইইউরো ৬ নীতি বাস্তবায়নের তাগিদ দিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে সিএসইর রয় চৌধুরী বলেন, ভারতের পেট্রোলিয়াম শোধনাগারগুলোর ১০ পিপিএম সালফারসমৃদ্ধ জ্বালানী শোধনের সক্ষমতা রয়েছে, যা কিনা ইউরো ৬ এর জন্য প্রযোজ্য । ডিজেলসৃষ্ট সমস্যা তখনই দুর হবে যখন আমরা আসলে ইউরো ৬ জ্বালানী নীতি বাস্তবায়ন করতে পারবো।

সারাদেশের জন্য একটি নিঃসরণ মাত্রা (এমিশন স্ট্যান্ডার্ড) নির্ধারনের দাবীর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা অধিকমাত্রায় গণপরিবহন চালুরও দাবী জানাচ্ছেন। এর অর্থ এই নয় যে প্রচুর পরিমানে বাস কিনে সেগুলো গণপরিবহন বহরে যুক্ত করা । বরং যেটি করা উচিত তা হচ্ছে এমন ব্যবস্থা চালু করা যাতে নাগরিকরা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে সেই সব গণ পরিবহন ব্যবহার করতে শুরু করে।কারন শহরাঞ্চলে বায়ু দূষনের জন্য ৭০ ভাগ দায়ি হচ্ছে এসব ব্যক্তিগত গাড়ি।

২০০৮ সালের পরে সরকার একটি সংশোধিত বায়ু গুনাগুন মাত্রা (এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড) নির্ধারন করে দিয়েছিল। তবে এর বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে এটিকে আরো কার্যকরী করা প্রয়োজন।অনুমিতা রয় চৌধুরী এক্ষেত্রে বলেন, রাজ্য সরকারগুলো বায়ু দূষন নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে। যদি কোনো একটি শহর বায়ু দূষন নিয়ন্ত্রন করতে না পারে তাহলে কোনো না কোনো পক্ষকে তো দায় নিতে হবে । তিনি বলেন, সরকার এরই মধ্যে সিএনজি রূপান্তরের মতো সহজ ব্যবস্থার প্রচলন করেছে । এ মুহুর্তে সরকারের উচিত আরো শক্ত অবস্থান নেয়া এবং বেইজিং ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমাতে যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা।