দূষন

দক্ষিণ এশিয়ায় সৃষ্ট দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে তিব্বতে

গবেষণা বলছে, নেপাল ও ভারত থেকে সৃষ্ট দূষিত বায়ু আবছায়া হয়ে হিমালয়ের উপর দিয়ে এভারেষ্ট ও মধ্য তিব্বতে ছড়িয়ে পড়ছে
বাংলা

হিমালয় ও তিব্বতের উচ্চতা ও অবস্থান এতটাই দূরে যে, স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হতো চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তৃত অঞ্চলসমূহ এদের কল্যানে দূষণমুক্ত থাকবে। এমনকি এটাও মনে করা হতো যে পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই পর্বতমালা তার শৃঙ্গসমূহকে দূষণমুক্ত রাখতে একটি প্রাচীর হিসেবে কাজ করবে।

কিন্তু চীনের ‘একাডেমি অব সাইন্সেস’-এর এক গবেষণা বলছে, কেবল পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয়ই নয়, এখানে সৃষ্ট বায়ু দূষণ এখন মধ্য তিব্বত পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে। গবেষণা পরিচালনাকারী দলটি সবচেয়ে বেশি দূষণের নমুনা সংগ্রহ করেছে এভারেষ্টের উত্তর ঢালে। এই দলটি আরো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে হিমালয়ে বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস নেপাল এবং উত্তর ভারত।

দক্ষিণ এশিয়াকে বিষিয়ে তুলছে ধূসর মেঘ

প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত শুষ্ক শীত মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় উপত্যকা ব্যাপকভাবে বায়ু দূষণের শিকার হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে নেপাল ও ভারতীয়রা দম বন্ধ হওয়ার মতো বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছেন, বৈজ্ঞানিকভাবে একে বলা হয় ‘এটমোসফিয়ারিক ব্রাউন ক্লাউডস’ বা এবিসি। ২০১৫ সালে ভারতের বায়ু দূষণের মাত্রা চীনের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। নাসার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রিনপিসের নিজেদের এক গবেষণায় বলা হয়, ভারতে বাতাসে বস্তুকণার মাত্রা চীনে প্রাপ্ত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্য্যরে বিষয় হচ্ছে চীনে এই মাত্রা ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে কমেছে আর অন্যদিকে ভারতে প্রতিবছর এই মাত্রা দুই শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে!

এখানে সবচেয়ে বেশি দূষণের ঘটনা ঘটছে শীতের সময় – কারণ এসময় একদমই বৃষ্টি হয়না। আর তাই নানা কারনে সৃষ্ট দূষণ বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাবারও সুযোগ পায়না। এখনকার দিনে কাঠম-ু থেকে হিমালয়কে স্পষ্টভাবে বলতে গেলে দেখাই যায় না। কারণ পুরো উপত্যকাই এক ধরনের ভারী বাদামী মেঘের আস্তরণে ঢেকে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে যখন এই বাদামী মেঘগুলো ভারত মহাসাগর থেকে হিমালয় পর্বতমালার দিকে বইতে থাকে তখন এর সাথে যুক্ত হয় রান্না ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য পোড়ানো বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানী ও জৈব বস্তু থেকে নির্গত ধোঁয়া।

২০০৮ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি’র (ইউএনইপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা ধরনের ধূলোকণা (ঝুট), সালফেট এবং অন্যান্য ক্ষতিকর অ্যারোসোল ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট এটমোসফিয়ারিক ব্রাউন ক্লাউড বা এবিসি দক্ষিণ এশিয়ার জল ও খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। ধূলোকণা হিমবাহগুলোতে গিয়ে জমা হতে থাকে। এরা তূষারকে ঢেকে দেয় এবং শক্তি শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হিন্দুকুশ-হিমালয় পর্বতমালায় হিমবাহ ও তূষার গলার মাত্রা বেড়ে যায় যা পরবর্তীতে এই উপত্যকা ও নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে জলের যোগান দেয়।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এসব দূষণ সৃষ্টিকারী বস্তু সুর্য্যরে আলোকে শোষন করে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যা আসলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের ফলে সৃষ্ট উষ্ণায়নের মতোই একটি বিষয়। ফলে এখানকার পার্বত্য এলাকায় দিনকে দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ইন্দো-গাঙ্গেয় সমতলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পশ্চিমা বায়ুর কল্যানে দূষণ সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো নেপাল ও উপত্যকা হয়ে হিমালয়ে বিভিন্ন পর্বতমালার ঢালে জমতে শুরু করে।

হিমালয়ের উত্তর ও দক্ষিণাংশের পর্বত থেকে নেয়া বরফের নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাতে ধূলোকণার (ঝুট) উপস্থিতি আছে ব্যাপক পরিমানে। ধারণা করা হয় এসব দূষণ সৃষ্টিকারী পদার্থ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া শিল্পায়নের কারনেই সৃষ্টি হচ্ছে। এর অর্থ কিন্তু একটাই – দূষণ সৃষ্টিকারী এসব পদার্থ অনায়াসে হিমালয়ের মতো বড় বড় পর্বতশৃঙ্গ পর্যন্ত পৌছে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক তথ্য-প্রমান

মধ্য তিব্বতে দূষণ ছড়িয়ে পড়তে হিমালয় যে আসলে কোনো বাঁধা নয় সে ব্যাপারে চীনের বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট তথ্য-প্রমান সংগ্রহ করেছে।  ২০০৯ সাল থেকে তারা হিমালয়ের উত্তরাংশের ঢালে কিছু পর্যবেক্ষন কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা বলছেন, এভারেষ্টের উত্তর ও দক্ষিণ উভয় অংশেই তারা বায়ু দূষণের যথেষ্ট প্রমান পেয়েছেন।

চীনের একাডেমি অব সাইন্সেস-এর অধ্যাপক ক্যাং শিচ্যাং (স্টেট কি ল্যাবরেটরি অব ক্রায়োসফিয়ার) গত ১৫ বছর যাবত কিনহাই-তিব্বত এর বায়ুম-ল পর্যবেক্ষণ করছেন।

এ বছরের এপ্রিলে তিনি হঠাৎ করে হিমালয়ের কোমোলাংমা (এভারেষ্ট) শৃঙ্গে স্থাপিত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে কালো কার্বনের মাত্রা বৃদ্ধির একটি প্রবনতা লক্ষ্য করেন। এই কেন্দ্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,২৭৬ মিটার উচ্চতায় এভারেষ্ট শৃঙ্গের উত্তর পাদদেশে অবস্থিত। সাধারনত এভারেষ্ট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে কালো কার্বনের মাত্রা পরিমান প্রতি ঘনমিটারে ০.৩ মাইক্রোগ্রাম থাকার কথা। তবে গত ৯ –  ১৮ এপ্রিল সময়কালে এই মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১.২ – ২.৪ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত। যদিও জন-মানবহীন এ ধরনের একটি এলাকার জন্য এই মাত্রা যথেষ্ট বেশি, তারপরেও চীনের জন্য কালো কার্বনের এই মাত্রার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। দেশটির শহর অঞ্চলে কালো কার্বনের ঘনত্বের মাত্রা সাধারনত প্রতি ঘনমিটারে ৬  – ১১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত দেখা যায়। ২০১২ সালে প্রকাশিত ইউএনইপি’র এক প্রতিবেদনেও এমনটাই বলা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ক্যাং বলেন, এভারেষ্টে কালো কার্বনের যে আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে তা খুব স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি এবং এই মাত্রাকে অবশ্যই একটি ‘দূষণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

আবহাওয়ার তথ্য, ভূ-উপগ্রহ চিত্র ও কম্পিউটার সিম্যুলেশন ব্যবহার করে এখানকার বায়ু প্রবাহের সব দিক বিশ্লেষন করেন অধ্যাপক ক্যাং ও তার গবেষণাকারী দল। তারা সবশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এভারেষ্টে স্থাপিত কেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত ৯৭ শতাংশ বায়ু উত্তর ভারত ও প্রতিবেশী নেপাল থেকে প্রবাহিত হচ্ছে। তাদের গবেষণা মতে, এভারেষ্ট পর্বতশৃঙ্গ পর্যন্ত পৌছাবার আগে এই বায়ুপ্রবাহ নেপালের বিস্তীর্ন এলাকার উপর দিয়েই বয়ে যায়।

নাসার একুয়া ভূ-উপগ্রহের এমওডিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে অধ্যাপক ক্যাংয়ের নেতৃত্বে কাজ করা গবেষক দলটি নেপালে সৃষ্ট দূষণকে একটি অন্যতম ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপরই তারা দায়ী করেছে উত্তর ভারতের দূষণকে। তাদের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এভারেষ্ট কেন্দ্রে প্রাপ্ত নমুনায় অ্যারোসোল অপটিক্যাল ডেপথ-এর (এওডি) বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ বায়ুতে প্রচুর পরিমানে পোড়া জিবাশ্মের উপস্থিতি রয়েছে (এর অন্যতম উৎস হচ্ছে চুলায় রান্নার কাজে পোড়ানো কাঠ, শস্য অথবা বনে আগুন লাগা)।

এপ্রিলে যখন এভারেষ্টে দূষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল, নেপালে তখন দীর্ঘ খরার কারনে জঙ্গলে আগুন লেগে তীব্র আবছায়া সৃষ্টি হয়। নাসার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায় যে ৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যাপক পরিমানে আগুন ও কৃষি শস্য পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।

সূদুরপ্রসারী প্রভাব

আন্ত:সীমান্ত বায়ু দূষণ কেবল এভারেষ্টের চারপাশেই ক্ষতির কারণ সৃষ্টি করছে না। গত ২০০৯ সালে মার্চে এভারেস্ট পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের ৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মধ্য তিব্বতের নামকো ষ্টেশনে এওডির মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ০.৪২ (২০০০-২০১৩ সালে চীনের বেইজিংয়ের আশেপাশের দূষণযুক্ত শহরাঞ্চলে এই এওডির মাত্রা ০.৪২৮ থেকে ০.৫৫০ পর্যন্ত পাওয়া যায়)। সাধারণত প্রতি ঘন মিটারে এওডির মাত্রা ০.০২৯ মাইক্রোগ্রাম হলে তাকে সহনীয় পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ হিমালয়ে ও এর আশেপাশে দুষণের মাত্রা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছরের মাঝামাছি অধ্যাপক ক্যাংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণাটির ফলাফল ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয় এটমোসফিয়ারিক কেমিষ্ট্রি ও ফিজিক্স জার্নালে। এতে এবিসি’র (এটমোসফিয়ারিক ব্রাউন ক্লাউড) দ্বারা দূষিত হয়ে বাতাস মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে কীভাবে দক্ষিণ এশিয়া থেকে তিব্বতে পৌছে যাচ্ছে তা তুলে ধরা হয়।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত আন্ত:সীমান্ত বায়ু দূষণের মাত্রা থাকে সবচেয়ে বেশি। অধ্যাপক ক্যাংয়ের প্রায় এক দশক ধরে পরিচালিত গবেষণায় এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।

প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ডেভেলপমেন্ট-এর (আইসিআইএমওডি) কর্মসূচি সমন্বয়ক আর্ণিকো পান্ডে বলেন, হিমালায় কিন্তু কোনো অপ্রবেশ্য প্রাচীর নয়। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির সাবেক এই অধ্যাপক  এক ই-মেইল ইন্টারভিউতে বলেন, হিমালয়ের বহু স্থানে নদী অববাহিকা ও বায়ু প্রবেশের জন্য স্থান রয়েছে। এদের মধ্যে দিয়ে বায়ু খুব সহজেই উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে পৌছাতে পারে।

হিমালয় অঞ্চলে আন্ত:সীমান্ত বায়ু দূষণ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি বেশ জোর দেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ১৯৯৮ সালে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ এবং এর ফলে সৃষ্ট আন্ত:সীমান্ত প্রভাব শীর্ষক মালে ঘোষনায় সই করলেও বাস্তবে এ বিষয়ে কোনো কাজই হয়নি। আর্ণিকো পান্ডে বলেন, এ মুহুর্তে দূষণসৃষ্টিকারী দেশগুলো জানেই না যে তারা যে পর্যায়ে দূষণ সৃষ্টি করে যাচ্ছে এবং তার প্রভাব কী হতে পারে! এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত তথ্যের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এমনকি দূষণ সৃষ্টিকারী দেশ এবং এর ফলে বিরুপ প্রভাব পড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে বৈজ্ঞানিক তথ্য বিনিময়েরও ঘাটতি রয়েছে।

আসলে বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই আন্ত:সীমান্ত বায়ু দূষণের সমস্যা রয়েছে। ১৯৭৯ সালের দিকে ধোঁয়াশাসৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলো একটি কনভেনশনে (জেনেভা কনভেনশন অন লং-রেঞ্জ ট্রান্স-বাউন্ডারি এয়ার পলিউশন) সই করে। ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চলে সৃষ্ট অগ্নিকা-ের ফলে আশেপাশের দেশগুলোতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। কোরিয়া ও জাপানে দূষণের জন্য পূর্ব চীনকে দায়ি করা হয়।

হিমবাহ গলে যাওয়া এবং বায়ুম-লে ব্রাউন ক্লাউডের আধিক্য কমিয়ে আনার জন্য অবশ্যই কারিগরি সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময় জরুরী। অধ্যাপক ক্যাং বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আইসিআইএমওডি’র সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে হিমালয়ে যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জোরদার করার কথা ভাবছি। এক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় গবেষকদেরও সহযোগিতা পেতে আগ্রহী।

বায়ু দূষণ প্রতিরোধে চীনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ব্যাপারে অধ্যাপক ক্যাং বলেন, পূর্ব চীনে খোলা স্থানে যে কোনো কিছু পোড়ানো একেবারেই বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ফসলের উচ্ছ্বিষ্টাংশ পূনর্ব্যবহার করার ব্যাপারে সেখানে উৎসাহ দেয়া হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেগুলোতে চালু করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া অন্যান্য পদক্ষেপ যেমন জ্বালানী সাশ্রয়ী চুলা, উন্নত মানের জ্বালানী ব্যবহার এবং দূষণ সৃষ্টিকারী ইটভাটা বন্ধ করার মতো উদ্যোগ এক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো ফল দিতে পারে।

এদিকে হিমালয়ে হিমবাহগুলো এ মুহুর্তে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ মাত্রায় দূষনের শিকার হচ্ছে।

Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.

Strictly Necessary Cookies

Strictly Necessary Cookie should be enabled at all times so that we can save your preferences for cookie settings.

Analytics

This website uses Google Analytics to collect anonymous information such as the number of visitors to the site, and the most popular pages.

Keeping this cookie enabled helps us to improve our website.

Marketing

This website uses the following additional cookies:

(List the cookies that you are using on the website here.)