লক্ষনের মনে হয় আজ সে লটারি জিতেছে। ৪৫ বছর বয়সী একজন স্ক্র্যাপ (ফেলে দেয়া নানা ধরনের পদার্থ/আবর্জনা) ক্রেতা নতুন দিল্লির একটি বাড়ি থেকে ৫০ টাকায় (০.৬৭ মার্কিন ডলার) একটি নষ্ট গাড়ির ব্যাটারি কিনেছেন৷ ভারতের রাজধানী দিল্লির রাজপথে ঘুরে বেড়ানো হাজারো কাবাডিওয়ালার মতো পুরনো খবরের কাগজ, খালি বোতল সংগ্রহ করে লক্ষনের পুনচক্রায়ন মার্কেটের মূল্য সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। লক্ষণ জানে যে সে এই ব্যাটারিটি ৩,৭৬০ টাকায় (৫০.৩০ মার্কিন ডলার) বিক্রি করতে পারবে। এই পরিমাণ লক্ষনের গড় মাসিক আয় প্রায় ৩০,০০০ টাকা (৪০০ মার্কিন ডলার) এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। লখন জানে যে সে এই ব্যাটারিটি সে ৩,৭৬০ টাকায় (৫০.৩০ মার্কিন ডলার) বিক্রি করতে পারবে। এই পরিমাণ টাকা লক্ষনের গড় মাসিক আয় প্রায় ৩০,০০০ টাকার (৪০০ মার্কিন ডলার) একটি বিরাট অংশ।
মৃত ব্যাটারি, এখন একটি জটিল পুনর্ব্যবহারযোগ্য চক্রের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি হচ্ছে তা হলো অনানুষ্ঠানিক ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি।
১.২ মিলিয়ন টন
টক্সিক্স লিঙ্ক অনুসারে, ২০১৭-১৮ সালে ভারতের পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্পে ব্যবহার হওয়া ব্যাটারির পরিমান
ফরাসি পদার্থবিদ গ্যাস্টন পানটে ১৮৫৯ সালে সীসা-যুক্ত ব্যাটারি আবিষ্কার করেন। এটি অন্যান্য অনেক কিছুর পাশাপাশি যানবাহন, টেলিযোগাযোগ এবং বিদ্যুত শিল্পে শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত সীসার প্রায় ৮৬ শতাংশ সীসা-অ্যাসিড ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যার বেশিরভাগই আবার পুনচক্রায়ণ বা পুনর্ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি, বিভিন্ন দেশে যে বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং সৌর শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের দিকে পরিচালিত হতে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে তার ফলে এই জাতীয় ব্যাটারি উৎপাদন দ্রুত প্রসার পাচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে যে বিশ্বব্যাপি সীসাযুক্ত অ্যাসিড ব্যাটারির বাজার, যা ২০১৯ সালে ছিল ৪১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২৪ সালের মধ্যে তা ৫২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বিপুল এই চাহিদার ফলে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সীসাযুক্ত ব্যাটারির পুনর্ব্যবহারের জন্য একটি অত্যন্ত বৃহত একটি বাজার সৃষ্টি করেছে। সরকারী তথ্য মতে,২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ সালের এই ব্যবধানে ভারতে টনপ্রতি সীসাযুক্ত ব্যাটারির ব্যবহার ১০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টক্সিক্স লিংকের তথ্য অনুসারে ভারতে ২০১৭-১৮ সালে ১.২ মিলিয়ন টন ব্যাটারি ভারতের পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যাটারিই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে।
চলছে কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ৈ অবৈধ সীসাযুক্ত ব্যাটারির পুনচক্রায়নের কারবার
লক্ষণ তার ব্যাটারিটি বিক্রির পর সেটি নতুন দিল্লির বাইরে একটি পুনচক্রায়ন কারখানায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ব্যাটারিটি থেকে সীসা পৃথক করে তা কোনো কারখানায় বিক্রি করা হবে।
নতুন দিল্লির কাছে উত্তরপ্রদেশের একটি ছোট শহর মুরাদনগর। শহরটি এখন ব্যাটারি-রিসাইক্লিংয়ের একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। দ্য থার্ড পোলের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে দেখা যায় কারখানাগুলাের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে অবৈধ সীসা গলানোর অবশিষ্টাংশ। সেখানকার মাটি এসব অবশিষ্টাংশ দ্বারা একবারেই আবৃত ছিল। ছোট ছোট এসব কারখানার পাশে ছোট-বড় অনেক চাষের সবুজ জমি। পাশে থাকা কারখানাগুলাে কর্তপক্ষ বন্ধ করে দিয়ছিল। এসিডের কারণে এখানকার মাটি বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। যত্র তত্র পড়ে আছে নষ্ট হওয়া ব্যাটারির ধ্বংসাবশেষ।
সেখানকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বছর দুয়েক আগে এসব কারখানাগুলো ধ্বংস করে দেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আমরা এর জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ,এসব কারখানার জন্য কারণ আমাদের শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল।
কিন্তু তাতেও স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি কমেনি। সেখানকার আরেক বাসিন্দা বিনোদ ধানগার বলেন, গরমের সময় রাতের বেলায় এখানে বমি ভাবের সৃষ্টি হয়। তাঁর মতে, এই ধরনের সমস্যা একপ্রকার থেকেই যায় কারণ এই ধরনের অবৈধ কারখানাগুলি এমন জায়গায় চলে যায় যেখানে তাদের কার্যক্রম লুকিয়ে রাখা সহজ। এরা দৈনিক উপার্জনের মতো একটি অস্থায়ী ব্যবসা।
যেহেতু অবৈধ ইউনিটগুলির কোন দূষণ নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম নেই, তাই সীসা গলানোর প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত ক্ষতিকারক ধোঁয়া এবং বর্জ্য পানি সরাসরি স্থানীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসব কারখনা যত তাড়াগাড়ি গড়ে উঠে আবার ঠিক ততটাই দ্রুত আবার বন্ধ হয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, আজকাল সিসা গলানোর ব্যবসা একটি পর্যােয় গিয়ে পৌছেছে। তবে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কারখানাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা আসলেই দূরহ একটি কাজ। আমরা যদি অভিযোগ পাই, আমরা সাধারণত এসব প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা সাধারণত অবৈধ রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপনের বিরোধিতা করে থাকে। বিজয়পাল বাঘেল, মুরাদ নগরের কাছে গাজিয়াবাদ শহরের বাইরে অবস্থিত একটি বেসরকারী সংস্থা পারইয়াভারান সাচেতাক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, এই ইউনিটগুলি কোনও দূষণ [নিয়ন্ত্রণ] নিয়ম মেনে চলে না৷ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এসব কারখানা অপসারণের পরও এ ধরনের স্থান দীর্ঘদিন দূষিত থাকে। টক্সিক্স লিঙ্কের প্রধান প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী প্রীতি মহেশ বলেন, বহু বছর ধরে এই ধরনের কারখানায় সীসার উচ্চ ঘনত্ব পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট আইন এবং বাস্তবায়নের অভাব
ভারতে ব্যাটারি (হ্যান্ডলিং এবং ম্যানেজমেন্ট) বিধিমালা ২০০১ আরো ভালোভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে সংশোধন করা হয়। এটি ভারতে সীসা অ্যাসিড ব্যাটারির ব্যবহার এবং নিষ্পত্তি সংক্রান্ত প্রাথমিক নিয়ম। এটি ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত ব্যাটারি সংগ্রহ এবং নিবন্ধিত পুনর্ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতকারক, অ্যাসেম্বলার এবং ডিলারদের দায়বদ্ধতা নিরুপন এবং নিশ্চিত করার উদ্ধেশ্য তৈরি করা হয়।
যাইহোক, সরকার, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দ্বারা প্রকাশিত নিয়মগুলির ২০১৭-১৮ সালের স্থিতি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলেছে যে বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য দূষণ বোর্ডগুলির উপযুক্ত স্টেকহোল্ডারদের তালিকা এবং সম্মতি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই।
দিল্লি মাস্টার প্ল্যান ২০২১ অনুসারে, ভারতের রাজধানীতে সীসা তৈরির পাশাপাশি বর্জ্য থেকে সীসা আহরণ আইনত নিষিদ্ধ। সীসা ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার করার প্রভাবের উপর টক্সিক্স লিঙ্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এ ধরনের আইনের কারনে অবৈধ পুনর্ব্যবহারকারী ইউনিটগুলি রাজধানীর আশেপাশের শহর যেমন মুরাদনগরে স্থানান্তরিত হয়েছে।
কেন সীসা এতটাই বিপজ্জনক?
সময়ের সাথে সাথে সীসা শরীরে জমে যায়। ভারী ধাতুর সঙ্গে সংশ্লেষ মানব শরীরে নানা ধরণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি বিশেষভাবে মস্তিষ্ক এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে থাকে। ইউনিসেফ এবং বেসরকারী সংস্থা পিওর আর্থের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সীসার বিষক্রিয়া বার্ষিক ৯০০,০০০ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী, যা বিশ্বব্যাপী সার্বিক মৃত্যুর ১.৫ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে মানুষের শরীরে রক্তে সীসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই।
তা সত্ত্বেও, এই ধাতুটি ব্যাটারি, রঙ এবং অন্যান্য অনেক শিল্প তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি আমরা যে মশলা খাই এবং প্রসাধনী ব্যবহার করি তাতেও এটি ব্যবহৃত হয়। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে সীসার ক্রমবর্ধমান হুমকির পিছনে প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল সীসাযুক্ত অ্যাসিড ব্যাটারির পুনর্ব্যবহার।
ব্যাটারি রিসাইক্লিং এর অনানুষ্ঠানিক বাজার মানে হল যে এই সেক্টরের যে কােনো ধরনের প্রভাব নির্নয়ের ক্ষেত্রে কোনো সরকারী পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু অসুস্থতার পরিসংখ্যান এটাই স্পষ্ট করে যে সমস্যাটি কতটা গুরুতর। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অন হেলথ অ্যান্ড পলিউশন (জিএএইচপি) অনুসারে, সীসা দূষণে ভারতে বছরে প্রায় ২৩৩,০০০ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়ে থাকে। বাংলাদেশ এবং নেপালের এর ৩০,৮০০ এবং ৩,৭৬০।
সীসার বিষক্রিয়ায় কেবল মানুষের মৃত্যুই হয় না, এর সাথে মানুষের নানা ধরনের রোগের যোগসূত্র রয়েছে। সীসা আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। শিশুদের বিকাশ অপরিবর্তনীয়ভাবে প্রভাবিত হয়। উপরন্তু, এর ফলে মানুষের মধ্যে গুরুতর আচরণগত প্রভাব তৈরি হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সীসা বিষের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী ২১.৭ মিলিয়ন বছর স্বাস্থ্যকর জীবন (অক্ষমতা-সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবন বছর, বা DALYs) হারিয়ে যায়। এর সবচেয়ে বেশি সংখ্যা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
একই গল্প সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে
ইন্টারন্যাশনাল লিড অ্যাসোসিয়েশন (আইএলএ) অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১১৮,০০০ টন সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি বর্জ্য আকারে ফেলে দেওয়া হয়। পিওর আর্থের তথ্য মতে, এখানে শুধুমাত্র দুটি সরকারী-নিবন্ধিত পুনর্ব্যবহারকারী এবং চারটি ব্যাটারি উৎদনকারী সংস্থা রয়েছে যারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহৃত ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার করে থাকে।
একই পরিস্থিতি ভারতের সর্বত্র। উদাহরণস্বরূপ, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মতে, ভারতের দরিদ্রতম রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ঝাড়খণ্ড। সেখানে ৬৭২টি অপারেটিং ইউনিটের মধ্যে মাত্র দুটি নিবন্ধিত পুনর্ব্যবহারকারী রয়েছে৷ ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির কোকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় কর্মরত একজন নিবন্ধিত পুনর্ব্যবহারকারী শিব শঙ্কর বলেছেন, যদি সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহৃত করা হয়, একটি সীসা-অ্যাসিড ব্যাটারি বিক্রি করলে তার আসল মূল্যের ৬০ শতাংশ মূল্য পাওয়া যায়। তিনি দাবি করেছেন যে তার জন্য কাজ করা শ্রমিকরা আগে মাথা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু এখন যেহেতু তিনি একটি নতুন বায়ু পরিস্রাবণ ব্যবস্থা ব্যবহার করছেন এবং নিয়মিত মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন তাই তার কারখানায় সীসার বিষক্রিয়ার কোনো ঘটনা আর ঘটছে না।
শঙ্কর বিশ্বাস করেন যে লিড ব্যাটারি রিসাইক্লিং শিল্পের একটি খুব খারাপ চিত্র রয়েছে।
শিব শঙ্করের এই কারখানা চিত্র পাকিস্তানে বিরল। লাহোরের ক্লিনার প্রোডাকশন ইনস্টিটিউটের চিফ এক্সিকিউটিভ আজহার-উদ-দিন খানদ্য থার্ড পোলকে বলেন, লিড-অ্যাসিড ব্যাটারির অনানুষ্ঠানিক পুনর্ব্যবহারকারী ইউনিট সাধারণত শহরগুলির আশেপাশে অবস্থিত। পাকিস্তানের এখনও এই ব্যাটারি ব্যবহারের পর ফেরত কেনার জন্য একটি কার্যকর নীতি নেই। তার মতে, অনানুষ্ঠানিক উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া বৃথা, কারণ সমস্যাটি উৎসেই বন্ধ করতে হবে। উৎদনকারী সংস্থাগুলিকে তাদের উদ্ভাবনের জন্য দায়ী করা উচিত।
খান বলেন, যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সীসা অ্যাসিড ব্যাটারির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে এতটা বেড়ে গেছে। এটি মানুষকে সীসা অ্যাসিড ব্যাটারিতে চালিত ইনভার্টার ব্যবহার করতে বাধ্য করে এবং গাড়ির জন্যও এটা বাড়ছে।
মানুষ কি ব্যাটারির ব্যবহার বন্ধ করবে? আমি শুধু আমার কাজটিই করার চেষ্টা করছি।লক্ষণ, ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী
নেপালের সমস্যা তার দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের মতোই। কাঠমন্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যোতি গিরি বলেন, ব্যবহৃত সীসা ব্যাটারি প্রায়ই দক্ষিণ নেপালের তরাই অঞ্চলে ধ্বংসের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। গিরির মতে, অ্যাসিড অপসারণের সুবিধার্থে এই ধরনের ইউনিটগুলি সাধারণত নদীর কাছাকাছি পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন পুনর্ব্যবহারযোগ্য কার্যক্রমগুলিকে গুরুতরভাবে নেওয়া হচ্ছে না এবং নিয়মগুলির মধ্যে সুস্পষ্ট ত্রুটি রয়েছে৷ গিরি সতর্ক করে বলেন যে সীসা কেবল স্পর্শের মাধ্যমেই রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে।
এই বিষাক্ত প্রক্রিয়া সম্পর্কে লক্ষনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ কি ব্যাটারির ব্যবহার বন্ধ করবে? আমি শুধু আমার কাজটিই করার চেষ্টা করছি।
লাহোরের খান বলেন, বিষাক্ত পদার্থের পুনর্ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতার ক্ষেত্রে আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে।
অনুবাদ: মোর্শেদা আক্তার