বনানী দেব তার ১০ম শ্রেণীর পুরোনো নোটবুকটি যখন মনোযোগ দিয়ে দেখে তখন তার স্কুলের দিনগুলির কথা মনে পড়ে যায়। এই বছর, ১৫ বছর বয়সী বনানীকে স্কুল ছেড়ে দিয়ে তার চেয়ে ১১ বছরের বড় এক যুবককে বিয়ে করতে হয়েছে। বনানীর স্বামী মৌসুনি দ্বীপের বালিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। এপ্রিলে বনানী দেবের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন তিনি।
একটি এমব্রয়ডারি করা শাড়ি আর সোনার গয়না পরিহিত বনানী দেব বলেন, তিনি প্রথমে বিয়ের কথা শুনে বেশ ঘাবড়ে যান। কিন্তু শীঘ্রই তিনি বাস্তবতার মুখোমুখি হন। তিনি এখন তার স্কুলের বন্ধুদের এবং তার স্বামীকে মিস করেন, যিনি বিয়ের দুই মাস পরে দৈনিক মজুরির আশায় কাজের সন্ধানে ঝাড়খন্ডে চলে যান।
বনানী বলেন, তিনি জানতেন যে তিনি অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়ে যাবে। তার পড়ালেখা ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথে তার অনেক বন্ধুও স্কুল ছেড়ে দেয় – মেয়েরা তাড়াতাড়ি বিয়ে করে এবং ছেলেরা কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে চলে যায়।
ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত মৌসুনি, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের আশেপাশে ৫৪টি বাসযোগ্য দ্বীপের মধ্যে একটি। ছোট এই দ্বীপটি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর আর গঙ্গা নদীর একটি শাখা নদী দ্বারা আবদ্ধ। মৌসুনিতে বসবাসকারী প্রায় ২৫,০০০ মানুষ শুধুমাত্র নৌকায় মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে পারে।
গত ২০ বছরে, দ্বীপটি সুন্দরবনের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অংশগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। তিন বছরে তিনটি ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, আম্ফান ও ইয়াস এখানকার ভূমির মারাত্বক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। বেড়েছে লবণ পানির প্রভাব। ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের জানমাল ও জীবিকা ধ্বংস হয়েছে ব্যাপকভাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের দুর্যোগ এই অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে এবং এর তীব্রতা বেড়েই চলছে। জলবায়ু বিপর্যয়ের পাশাপাশি কোভিড ১৯ সৃষ্ট লকডাউন দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়ে পড়ে, বিশেষ করে যারা কৃষি ও মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল।
বনানী দেবের বাবা সুনীল দেব বলেন, টানা তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের পর মারাত্বক অনিশ্চয়তা আমাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। আমাদের এক একর জমি এবং একটি ছোট পুকুর আছে। আমরা এক একরে ফসল ফলিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করে বাজারে বিক্রি করতাম। কিন্তু ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দাঁড়িয়ে থাকা ফসল ধ্বংস করে এবং সব মিঠা পানির মাছ মেরে ফেলে।
দেব বলেন, ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তার ক্ষেতে নোনা পানি পৌঁছে যায়। এটি কেবল ফসলই নয়, কমপক্ষে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য জমির উর্বরতা নষ্ট করে। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় লোকজন-যাদের আয়ের প্রধান উৎস পান চাষ করে বিক্রি করা-তাদের কোনো ফসলই হয়নি।
দেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরে, তার ছয়জনের পরিবার গুজরাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়া ছেলের পাঠানো অর্থ দিয়ে চলছিল, কিন্তু পরিবার চালানোর জন্য এই অর্থ মোটেই যথেষ্ট নয়। আর এই পরিস্থিতির কারণেই বনানী তাড়াতাড়ি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
নিত্যই ঝরে পড়ছে রেকর্ড সংখ্যক শিশু
মৌসুনি সমবায় স্কুল এই দ্বীপে পরিচালিত দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনয় শি বলেন, স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। গত দুই বছরে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১৫ – ২০ শতাংশ শিশু স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। এ বছর এ পর্যন্ত ১,৩০৬ জনের মধ্যে ১০০ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৫১। শি বলেন, ঝরে পড়াদের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশই মেয়ে।
প্রধান শিক্ষকের মতে, নতুন ছাত্রদের ভর্তির হার বাড়লেও “মোট [ছাত্রদের] সংখ্যা একই থাকে বা প্রতি বছর কমে যায়”। শি বলেন, নবম শ্রেণির পর ছাত্রদের সংখ্যা “তাত্ত্বিকভাবে কমে যায়” কারণ ছেলেদের কাজের সন্ধানে পাঠানো হয় এবং মেয়েদের বিয়ে হয়।
সেখানকার বেশ কয়েকটি পরিবার দ্য থার্ড পোলকে জানান যে একটি সময় ছিল যখন তাদের ক্ষেতগুলি পুরো গ্রামের জন্য অন্ন জোগাড় করতে পারতো। এখন তাদের সন্তানদের খাওয়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা বলেন, পরিবারের উপর ভরণপোষণের চাপ খুব বেশি হয়ে গেছে, এমন পরিস্থিতিতে সবাই তাদের মেয়েদের স্কুল থেকে তুলে নিয়ে তাড়াতাড়ি তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
মেয়েদের কল্যাণের জন্য এবং তাদের দীর্ঘকাল স্কুলে থাকতে সাহায্য করতে ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে, যা ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের বার্ষিক বৃত্তি প্রদান করে। শি বলেন, এটি প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমাতে সাহায্য করেছিল কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং ইয়াস থেকে, স্কুলে মেয়ে এবং বৃত্তি প্রাপকদের সংখ্যা এখনও হ্রাস পাচ্ছে।
২০১৯ থেকে ২০২১ সালের জন্য সরকারী তথ্যে দেখা যায় যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জুড়ে আইন দ্বারা প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বয়সের কম বয়সে মেয়েদের বিবাহের হার সবচেয়ে বেশি। ২০০৭-০৮ সালে এই হার ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৯ থেকে ২১ সালের তথ্য অনুযায়ি পশ্চিমবঙ্গে, ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী ৯৯ শতাংশ মেয়ে স্কুলে যায়, যা ১৫ থেকে ১৭ বয়সের জন্য ৭৭ শতাংশে নেমে আসে।
এই সমস্যাটি ছেলেদের ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে যাদের স্কুলে উপস্থিতি মেয়েদের তুলনায় কম। ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র ৬৭ শতাংশ। মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েত (গ্রাম পরিষদ) এর উপপ্রধান রামা কৃষ্ণ মন্ডল বলেছেন যে প্রতি বছর, অন্তত ২,০০০ কিশোর বালক ও যুবক ভারতের অন্যান্য রাজ্য যেমন গুজরাট এবং কেরালায় কাজের সন্ধানে মৌসুনি ছেড়ে যায়৷
কুসুমতলা গ্রামের ছত্রিশ বছর বয়সী চঞ্চল গিরি ওমান, কুয়েত এবং আবুধাবিতে আট বছর কাজ করার পর তার চার বছরের ছেলে এবং স্ত্রীর সাথে কিছু সময় কাটানোর জন্য সম্প্রতি দ্বীপে ফিরে এসেছেন। ২০০৯ সালে, ঘূর্ণিঝড় আইলায় তার ফসল ধ্বংস হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরের কয়েক বছর তাদের জমিও চাষযোগ্য হয়নি। গত বছরের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আবারও জমিটিকে ব্যবহার অনুপযোগী করে তুলেছে।
পরপর তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের পর বিশাল অনিশ্চয়তা আমাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল।ছবিতে একজন বাবা যিনি তার মেয়েকে ন্যূনতম আইনি বয়সের নিচে বিয়ে করছেন
গিরি, তার ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তিনি বলেন, “এক এক করে আমরা চারজনই কাজের সন্ধানে দ্বীপ ছেড়ে চলে যাই। আমরা এখানে আসছি কারণ আমাদের পরিবারের সদস্যরা এখনও এখানে থাকেন, কিন্তু আমাদের এখানে দীর্ঘ সময় থেকে চাকরীর কোনো সম্ভাবনা নেই।” তিনি তার ছেলের জন্য একই রকম ভবিষ্যত আশা করেন।
একই অবস্থা খরা কবলিত বাংলাদেশের রাজশাহীতে
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে সীমান্তের ওপারে শিশুদের পড়ালেখায় একই রকম প্রভাব ফেলছে। রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের মতে, গত পাঁচ বছরে রাজশাহীতে প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী (পঞ্চম থেকে সিনিয়র মাধ্যমিক) স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে বাল্যবিবাহের হার ২০ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এই আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ২০২১ সালে রাজশাহীতে মেয়েদের বিয়ের হার ছিল ১৫.৮২ শতাংশ, যা দেশে সর্বোচ্চ।
রাজশাহীর চক্ররাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, “পদ্মা (নদীর) ১৫টি জলবায়ু-সংবেদনশীল চরে [নদী দ্বীপে] মাত্র দুটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে এবং উভয় বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫ – ৪০ জন ছাত্রী প্রতি বছর বিয়ে করে, কারণ চরের বাসিন্দারা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।”
রাজশাহী একটি উষ্ণ, খরাপ্রবণ অঞ্চল। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের গবেষক এবং ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড সেক্রেটারিয়েটের প্রধান গোলাম রাব্বানী বলেন, ১৯৮১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাজশাহী শহরে ৩০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে কমপক্ষে সাতবার তাপমাত্রা ৩৮-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। এর মধ্যে তিনটি ছিল ২০১০, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে।
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা মেয়েদের লেখাপড়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঢাকার একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান বলেন, গত কয়েক দশক ধরে রাজশাহী অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। তিনি বলেন, “মেয়েরা সাধারণত অনেক পোশাক পরে। এমনকি গ্রীষ্মের দিনেও তাদের অনেক পোশাক পরতে হয়। মেয়েদের জন্য এটি অস্থিরতার কারণ হয়। স্কুল চলাকালীন গরমে তাদের কষ্ট বাড়ে। এটি শেষ পর্যন্ত তাদের স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য করে।”
এছাড়াও, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার পরোক্ষ প্রভাবও রয়েছে। জেলার সিংহভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল এবং প্রচণ্ড গরমে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও তীব্র হয়েছে এবং এ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এতে এসব এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার তীব্রতাও বাড়ছে, যা ফসল উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
যেহেতু পরিবারগুলি দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ে, তারা তাদের আর্থিক চাপ কমানোর উপায় খোঁজে। রব্বানী বলেন, এই শর্তগুলি অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে বের করে দিতে বাধ্য করে: মেয়েরা বিয়ে করে, এতে পরিবারের একজনের জন্য জোগান দেওয়ার দায়িত্ব কমে যায় এবং ছেলেরা চাকরি পায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অগাস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজতন্ত্রে বাংলাদেশে স্কুল-বয়সী শিশুদের সর্বোচ্চ হার (১৯ শতাংশ) শিশুশ্রমে নিয়োজিত।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব-দ্বীপে সমস্যা বাড়বে
বালিয়ারার বাসিন্দা শেখ আবদুল্লাহ (৫০) মৌসুনির অনেক কৃষকদের মধ্যে একজন, যাদের উপকূলীয় জমি নিঃশেষ হয়ে গেছে। ২০১৬ সালে, তার পরিবারের পৈতৃক জমির ৪.৫ হেক্টর – প্রায় নয়টি ফুটবল মাঠের সমতুল্য – একটি অংশ ঝড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
আবদুল্লাহ, যিনি তার স্ত্রী এবং দুই পুত্রবধূর সাথে থাকেন, বলেন, “কেরালা এবং কোলকাতায় কাজ করা আমার দুই ছেলে টাকা না পাঠালে আমরা না খেয়ে মারা যেতাম।” এ বছর তিনি টিকে থাকা ছোট ছোট জমিতে ধান চাষের চেষ্টা করলেও গত বছরের ঘূর্ণিঝড়ের লবনাক্ত পানি ফসল নষ্ট করে দেয়।
দ্বীপটি পানির বিপদ সীমা থেকে মাত্র তিন মিটার উপরে এবং প্রায়শই নোনা পানিতে প্লাবিত হয়।
১৯৬৮ – ৬৯ এবং ২০১২ সালের মধ্যে মৌসুনির ১৬ শতাংশ জমি হারিয়ে গেছে। একই সময়ে, ভারতীয় সুন্দরবন প্রায় ২৬০ বর্গ কিমি সংকুচিত হয়েছে, প্রতি বছর গড়ে ৬ বর্গ কিমি।২০০১ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ১০ বছরের মধ্যে ক্ষয় সবচেয়ে বেশি ছিল: প্রায় ৯০ বর্গ কিমি, প্রতি বছর প্রায় ৮ বর্গ কিমি হারে অদৃশ্য হয়ে যায়।
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওশেনোগ্রাফিক স্টাডিজের প্রধান এবং সুন্দরবনের বিশেষজ্ঞ সুগত হাজরা বলেন, সুন্দরবনের প্রান্তে ডায়মন্ড হারবারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বছরে ৫ মিলিমিটারের বেশি বাড়ছে। সেই তুলনায়, কেরালা উপকূলে দুই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠের বার্ষিক বৃদ্ধি মাত্র ১.৮ মিমি।
“ভারত মহাসাগর উষ্ণ হচ্ছে,” হাজরা বলেন। তিনি বলেন, এই উষ্ণ বাতাস সমুদ্রের পৃষ্ঠের উপর দিয়ে উত্তরে চলে যাওয়ায় সুন্দরবনের ব-দ্বীপে আটকা পড়ে। এই জমে থাকা তাপ ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও ফ্রিকোয়েন্সি এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেয়।
হাজরা বলেন, যতদিন বৈশ্বিক নির্গমন বাড়তে থাকবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনার মধ্যেও তরুণদের হারিয়ে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে। “এই দ্বীপের বাসিন্দারা এমনকি নির্গতকারীও নয়, তবে তারা শিকার,” তিনি জোর দিয়েছিলেন।
কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে
বাংলাদেশ থেকে রিপোর্ট করছেন রফিকুল ইসলাম
এই নিবন্ধটি ICIMOD এবং GRID-Arendal-এর অনুদানে তৈরি