আঞ্চলিক বন্ধুপ্রতীম সহযোগীতা সংস্থা বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন) সাত সদস্য দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশেরই অবস্থান বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে। সহযোগী এই সাত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড মূলত এই জোটে যুক্ত হয় ১৯৯৭ সালের জুন মাসে। একই বছরের ডিসেম্বরে জোটে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয় মিয়ানমার। আর সর্বশেষ নেপা আর ভূটান সদস্য হিসেবে যুক্ত হয় ২০০৪ সালে। সদস্য এই দেশগুলোর ১.৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৯৮ শতাংশই বসবাস করে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। আন্তর্জাতিক সস্থা সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সাইন্স উনফরমেশন নেটোয়ার্ক (সিআইইএসআইএন) এর তথ্য মতে, এই পাঁচটি দেশের প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মানুষ “লো এলিভেশন কোষ্টাল জোনস (এলইিসজেড) অর্থাৎ নিম্ন উঁচু উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। যার অর্থ হচ্ছে এই বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র দশ মিটারের কম উচ্চতায় বসবাস করছে এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো প্রতিনিয়তই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য হুমকি বয়ে নিয়ে আসছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। আর সেই সাথে ক্রান্তীয় ঘূর্নীঝড়ের প্রবলতা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারাবিশ্বে উপকূলীয় ক্রান্তীয় ঘূর্ণীঝড়ে যত মানুষের মৃত্যু হয় তার প্রায় ৮০ শতাংশই ঘটে এই অঞ্চলে। তবে বৈশ্বিক ঝড়ের তুলনামূলক বিচারে এখানকার ঝড়ের মাত্রা মাত্র ৫ শতাংশ।
বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলীয় দেশগুলোর মধ্যে যেমন ভারত এবং থাইল্যান্ডে যথাক্রমে ১.৯% এবং ৮.১% নগরবাসী সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ মিটার বা তার কম নিম্নভূমীতে বসবাস করে। ১৯৯০ থেক ২০১০ সাল পর্যন্ত (থাইল্যান্ড এবং শ্রীলংকা ছাড়া) এই অঞ্চলের বিপজ্জনক এলইসিজেড বা নিম্নভূমীতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী বলতে গেলে অনেকটাই সংকটের বাইরে ছিল। থাইল্যান্ডে এলইসিজেড অঞ্চলে বসবাসকারী জনসংখ্যা ১১.৯ শতাংশ থেকে ১৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে শ্রীলংকায় এই সংখ্যা ৫.৫ শতাংশ থেকে ৪.৩ শতাংশে নেমে আসে। মিয়ানমার, বাংলাদেশ আর ভারতে গ্রামীন অঞ্চলের অত্যন্ত বিপজ্জনক সংকটাপন্ন এলইসিজেড বা নিম্নাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী ছিল । কিন্তু উল্টোদিকে নগরাঞ্চলে জনসংখ্যা বলতে গেলে একই গতিতে বৃদ্ধি পায়।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এই দেশগুলোর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। এ অবস্থায় তাই জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্পর্কে যতটা সম্ভব পরিপূর্ণ ধারণা থাকা অত্যন্ত আবশ্যক যেমন – উঞ্চতা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চা বৃদ্ধি এবং ঘূর্ণিঝড় উল্লেখযোগ্য।
১৯০১ থেকে ২০১৮ সাল সময়ের মধ্যে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুর তাপমাত্রার বার্ষিক গড় বৃদ্ধি হয়েছে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারণা করা হয় এই শতাব্দীর শেষ দিকে এসে তাপমাত্রা ২.৪ থেকে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। ১৯৫১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ক্রান্তীয় ভারত মহাসাগরের সমুদ্র-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শতকে সামনের দিনগুলোতে এই তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে ধারণা করা হয়। গ্রীষ্মমন্ডলীয় মহাসাগরগুলির মধ্যে, ভারত মহাসাগরের তাপমাত্রা সবচেয়ে দ্রুত সময়ে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে, দ্রুততম তাপমাত্রা নিয়েছে এবং তা গত দুই দশক ধরে বৈশ্বিক মহাসাগরীয় উত্তাপের মোট পরিমাণের এক চতুর্থাংশ।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মূলত সমুদ্রের জলের তাপীয় প্রসারণের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার অঞ্চলজুড়ে ভিন্ন হতে পারে। গত ১৯৬০ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরের উত্তর এবং পূর্ব উপকূলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রবনতা বা পরিবর্তন ছিল সবচেয়ে বেশি।
মারণঘাতি ঘুর্ণীঝড়
সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে উত্তপ্ত পদার্থ ক্রান্তীয় ঘুর্ণীঝড়ের তীব্রতার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। ১৯৫১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লষন করে দেখা যাচ্ছে যে বঙ্গোপসাগরে ক্রান্তীয় ঘুর্ণীঝড়ের বার্ষিক পরিমান বা ঘটনার সংখ্যা হ্রাস (প্রতি দশকে ০.২৬ ঋণাত্বক) পেয়েছে, তবে ২০০০ সাল থেকে এই অঞ্চলে মৌসুমী ঋতু পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রবল ঘূর্নিঝড়ের মাত্রা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে (প্রতি দশকে ০.৮৬)।
সুতরাং, বিমসটেক জোট অঞ্চলে ঝড়ের সংখ্যা হ্রাসের প্রবনতার মধ্যেই প্রবল ঘূর্ণীঝড়ের মাত্রা এবং সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বৈশ্বিক উঞ্চতার চলমান এই প্রবনতার সাথে সাথে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে একবিংশ শতাব্দীতে প্রবল ঘূর্নীঝড়ের মাত্রা এবং সংখ্যা বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৮০ শতাংশ ক্রান্তীয় সাইক্লোন বা ঘুর্নিঝড় বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলে সংঘঠিত হয়ে থাকে। এইসব ঝড়ের প্রায় ৬০ শতাংশই ভারতের পূর্ব উপকূলের বিভিন্ন স্থানে ভূমিতে আঘাত হানে, আর ৩০ শতাংশ ঘুরে গিয়ে অন্যান্য উপকূলীয় দেশগুলোর সাগর তীরবর্তী ভূমিতে আঘাত হানে। আর বাকি ১০ শতাংশ ঝড় সাগরের মধ্যেই আছড়ে পড়ে নিষ্ক্রীয় হয়ে যায়। বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিবছর কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয়টি ক্রান্তীয় সাইক্লোন বা ঝড় সৃষ্টি হয় যার মধ্যে দুই থেকে তিনটি ঝড় প্রলংয়কারী ঝড়ে পরিনত হয়। ১৯৮১ থেকে ২০১৮ সাল মধ্যবর্তী সময়ে প্রায় ৪০ শতাংশ সময়ে প্রবল সাইক্লোন বা ঘুর্নিঝড় প্রলংয়কারী মহা ঘুর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে। গত ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৫টি প্রলংয়কারী ঘূর্নীঝড় সংঘঠিত হয়।
সমুদ্রে সৃষ্ট ঝড় ভূমিতে আঘাত হানলে উপদ্রুত এলাকার জনবসতি জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে বন্যা কবলিত হবার মারাত্বকভাবে ঝুঁকিতে পতিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মতো দেশের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলগুলো ঝড়ের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪১.২ শতাংশ মানুষ বসবাস করে এমন অঞ্চলগুলোতে যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ মিটার বা তার চেয়ে কম উচ্চতায় রয়েছে। অন্যদিকে মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার ২৫.২ শতাংশ মানুষ ঘুর্নিঝড় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। এই অঞ্চলগুলোতে সাধারণত গ্রামীন জনগোষ্ঠির বসবাস।
সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে অন্যান্য ঝূঁকিসমূহের মধ্যে আরো রয়েছে নদী ভাঙ্গন, উপকূলীয় অঞ্চলে নির্মিত নানা ধরনের স্থাপনার ক্ষতির ঝুঁকি এবং জলে লবনাক্ততার তীব্র প্রভাব। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব এলাকায় বসবাসকারী জনগণের জন্য আরো একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ভূমি হ্রাস। কোলকাতা, ঢাকা, ইয়াঙ্গুন এবং ব্যাংককের মতো শহরে গড়ে প্রতিবছর ১০ এবং ৩২ মিলিমিটার হারে ভূমি হ্রাস পায়।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মোকাবেলায় করনীয়
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নানা ধরনের ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় দেশের সংশ্লিষ্ট আইনের পরিবর্তনসহ, টেকসই স্থাপনা নির্মান যেমন ডাইক এবং বাঁধ বা প্রাচীর নির্মানসহ বাড়িঘরের উচ্চতা বৃদ্ধি, আপদকালীন আগাম সতর্কবার্তা এবং জলবায়ু ঝুঁকি বীমা চালু করা যেতে পারে।
উল্লেখিত পদক্ষেপসমূহের উদ্দেশ্য ঝুঁকি হ্রাস এবং আশংকায় থাকা অঞ্চলে বসবাসরত জনগণকে সহনশীল করে গড়ে তোলা। এই পদক্ষেপগুলোকে একত্রে ভলতে গেলে বলা যায়: এক. প্রতিহত বা প্রতিরোধ; দুই. অভিযোজন; এবং কিছু ক্ষেত্রে সামুদ্রীক জমি সৃষ্টি করে বিপদাপন্ন অঞ্চলের সুরক্ষা।
সাধারণত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট সমস্যার মোকাবেলা প্রক্রিয়া হচ্ছে বেশ কয়েক ধরনের পদ্ধতির ও পহ্নার সংমিশ্রন এবং প্রায়শই এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় কোনো একটি উপকূলীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরপর। চরমম কোনো পরিস্থিতির ক্ষেত্রে পূনর্বাসন বা পশ্চাতপসরন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় যেখানে সাধারনত কম ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামীন এলাকায়।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মোকাবেলায় নেয়া ১৭টি পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে একটি গবেষণা করা হয়। এতে দেখা যায় ১৭টি পদক্ষেপের মধ্যে মাত্র আটটি কার্যক্রম এই শতাব্দীর বাস্তবতায় উদ্দেশ্য সাধনে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ভাসমান বাড়ি নির্মান, সবজি বাগান সৃজন, কৃষিজ জীববৈচিত্র্য আধুনীকায়ন এবং আগাম সতর্কবার্তা প্রচলন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রনে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মান করে যেসব ব্যবস্তা গ্রহন করা হয়েছে সেগুলো তেমন কাজে আসছে না কিংবা অকার্যকর প্রমান হয়েছে। আর এর ফলে বন্যা প্রবন এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিজেদেরকেই বর্তমান ও ভবিষ্যত দুর্যোগ মোকাবেলায় নিজস্ব ব্যবস্থা গ্রহন করতে হচ্ছে। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা পদ্ধতি এই পরিবারগুলোর জন্য ব্যয়বহুল এবং স্বল্পমেয়াদে কার্যকর।
লদ্ধ জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়া
সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশগুলো একে অপরের কাছ থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারে। যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা মোকাবেলায় তারা যেভাবে বন্যার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে অর্থ ও সম্পদ বিনিয়োগ করেছে তা যে কোনো দেশের জন্যই হতে পারে শিক্ষনীয় হতে পারে। বিমসটেক বৈশি^ক বীমা শিল্পের উপরে নজর রাখতে পারে। বিশেষ করে এর ফলাফল এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে ক্ষুদ্র বীমার হার ইত্যাদি। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশে^ও শীর্ষস্থানীয় পুনর্বীমাকরণ সংস্থাগুলির নেতিবাচক বাণিজ্য এই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট এলাকায় বীমা বিমোচনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
যদি বীমার হার নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে রিট্রিট পদ্ধতি বেছে নেয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। ভারত মহাসাগরে সুনামীর পর উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন করে বাড়ি-ঘর নির্মান নিষিদ্ধ করে শ্রীলংকা সরকার ও ভারতের তামিলনাড়– রাজ্য। এর ফলে সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার পরিবার অন্যত্র চলে যায়।
উপকূলীয় যেসব অঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি এবং তা মোকাবেলা করা কিছুটা দুরহ, সেসব এলাকায় ঝুঁকি হ্রাস করতে হলে রিট্রিট পদ্ধতিই হবে একমাত্র উপায়। এই পদ্ধতির ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাবগুলোকে সরকার ও স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে খুব ভালোভাবে বিবেচনায় আনতে হবে। রিট্রিট পদ্ধতির প্রবনতা কমিয়ে আনতে হলে বিপদসংকুল ও ঝুঁকিতে থাকা এলইসিজেড অঞ্চলে নতুন করে কোনো ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা বন্ধ করতে হবে।
অনামিত্র অনুরাগ ডান্ডা অবজারভার রিসার্স ফাউন্ডেশনের এর এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ বিভাগের একজন সিনিয়র ভিসিটিং ফেলো। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জলবাযু মোকাবেলায় অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নে তার রয়েছে প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতা
ঘোষনা: এই নিবন্ধে প্রাথমিক অবস্থায় বিমসটেকের সদস্য হিসেবে নেপাল ও ভূটানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। দেশ দু’টি ২০০৪ সালে বিমসটেক-এর সদস্য হয়। এটি পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়েছে।
অনুবাদ: আরিক গিফার