खाना

মৌসুমী আম থেকে পোল্ট্রি – তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে হুমকিতে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা

তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে ব্যাহত হচ্ছে মৌসুমী ফলের উৎপাদন - পাশাপাশি প্রধান কৃষিজাত পণ্য ধান এবং পোল্ট্রি শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হুমকির মুখে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা
বাংলা
<p><span style="font-weight: 400;">তীব্র গরমে শুকিয়ে ঝরে পড়া অপরিপক্ক আমগুলাে পরীক্ষা করে দেখছেন প্রান্তিক কৃষক একলাখ হোসেন  (ছবি: রফিকুল ইসলাম)  </span></p>

তীব্র গরমে শুকিয়ে ঝরে পড়া অপরিপক্ক আমগুলাে পরীক্ষা করে দেখছেন প্রান্তিক কৃষক একলাখ হোসেন  (ছবি: রফিকুল ইসলাম) 

ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, খরা ও বন্যার পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সংকটের মুখে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির উপর দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত ৩০ এপ্রিলে দেশটির পশ্চিমের জেলা যশোরে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছায়। বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের কারনে এখানকার কৃষি খাত ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের (এলএসই) গ্রান্থাম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়  তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ রাখা গেলেও, ২০২১ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আক্রান্ত মানুষের অনুপাত ৪.৪% বৃদ্ধি পাবে।

তীব্র গরমে ক্ষতির মুখে মৌসুমী ফল উৎপাদন

মে মাসের মাঝামাঝি বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড তাপদাহে বাংলাদেশের আমের চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে যায়। একলাখ হোসেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় বসবাসকারী একজন আম চাষী একজন ভূক্তভোগী। 

এবছর তীব্র গরমে তার বাগানের আমগুলো পরিপক্ক হবার সুযোগই পায়নি। তীব্র উত্তাপে বড় হবার আগেই আমগুলো শুকিয়ে গাছ থেকে ঝরে পড়তে শুরু করে। 

জানতে চাইলে ডায়ালগ আর্থকে একলাখ হোসেন বলেন, এই গ্রীষ্মে আমবাগানগুলোর মাটি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে একদম ছোট অবস্থায় আমগুলো গাছ থেকে ঝরে পড়ে। প্রচণ্ড তাপদাহের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের উৎপাদন প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম হবে বলে তিনি ধারনা করছেন। 

গরমের প্রভাব থেকে নিজের বাগানকে বাঁচাতে প্রতিদিন একলাখ প্রায় এক হাজার টাকা (৮.৫৪ মার্কিন ডলার) ব্যয় করে গাছে সেচের ব্যবস্থা করেন। গত বছর তার ছয় একর জমির বাগান থেকে মোট ১৫০,০০০ টাকার (১,২৮১ মার্কিন ডলার) আয় হয়। বাগানে সেচের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের চেয়ে উৎপাদন ব্যয় দ্বিগুন হবে বলে ধারণা করছেন একলাখ। 

 একলাখের মতে অধিক উৎপাদন ব্যয় এবং কম ফলনের কারনে এবছর আমচাষীদের লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। এবছর এই খাত থেকে কৃষকদের খুব একটা লাভ হবে না বলেই তিনি মনে করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুসারে, ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশে আনুমানিক ২.৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়, আর ২০২১-২২ সালে যা ছিল ২.৩৫ মিলিয়ন টন। তথ্য অনুসারে, এবছর তাপদাহের কারনে আমের উৎপাদন প্রায় ৪০% কমেছে। বাজারে সরাবরাহ কম থাকায় বেড়ে গেছে আমের দাম। 

green mangoes on the ground
 তীব্র গরমে আমগুলো বড় হবার আগেই শুকিয়ে মাটিতে ঝরে পড়ে। একলাখ হোসেনের মতে এবছর গরমের কারনে গত বছরের তুলনায় আমের উৎপাদন ৩০% হ্রাস পাবে।  (ছবি: রফিকুল ইসলাম)

এই গরমে কেবল আমের ফলনই ক্ষতিগ্র হয়নি। ক্ষতির মুখে আরেক মৌসুমী ফল লিচু। বিরল উপজেলার অপর এক কৃষক আশরাফুল ইসলাম তার ৪৫ একরের লিচু বাগানটি নিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। অত্যধিক গরমে তার বাগানের গাছের লিচু অকালেই ঝরে পড়ে। 

আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আমার গভীর টিউবওয়েল থেকে এক মিনিটের জন্যও সেচের পানি বন্ধ করার উপায় নেই। তাপপ্রবাহ থেকে বাগানের ফলগুলো রক্ষা করতে আমি টানা সাত দিন ধরে অনবরত সেচ দিয়ে আসছি।‘

তার ধারনা এবছর লিচু উৎপাদনে তার খরচ ২.৫ মিলিয়ন টাকা [২১,২৮০ মার্কিন ডলার] ছাড়িয়ে যাবে। অথচ এই একই জমিতে গতবছর তার খরচ হয়েছিল এক মিলিয়ন টাকা [৮,৫১২ মিলিয়ন ডলার]।  

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তথ্যমতে, ২০২১-২২ সালে দেশের মোট লিচুর উৎপাদন ছিল ৯২,৯৫৮ মেট্রিক টন আর ২০২২-২৩ সালে যা ছিল ১০৪,৭০৮ মেট্রিক টন। ডিএই-এর হর্টিকালচার শাখার পরিচালক কেজেএম আবদুল আউয়ালের আশংকা প্রকাশ করে বলেন ‘এই বছর তাপপ্রবাহের কারণে লিচু এবং আমের   উৎপাদন কমপক্ষে ৩০% কমতে পারে।  

তীব্র গরমের কারনে দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশংকা করে তিনি বলেন, এই দু’টি ফলের পাশপাশি অন্যান্য মৌসুমী ফল যেমন  কাঁঠাল, জাম, নারকেল, পেঁপে এবং কাস্টার্ড আপেলসহ অন্যান্য ফলের উৎপাদনও একইভাবে ব্যাহত হবে। 

man standing near hollow tube connected to standpipe
তাপপ্রবাহের সময় নিজের লিচু বাগানটিকে টিকিয়ে রাখতে নিরবচ্ছিন্ন সেচের ব্যবস্থা করতে হয় আশরাফুল ইসলামকে  (ছবি: রফিকুল ইসলাম)।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক ডায়ালগ আর্থকে বলেন, এপ্রিল এবং মে মাসে টানা ৫২ দিনসহ পুরো বছরে সবমিলিয়ে মোট ৭৩ দিন তাপদাহের সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের ধরনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন বর্ষাকালেও আমরা তাপদাহের সম্মুখীন হচ্ছি। 

ঝুঁকিতে ধান উৎপাদন

বাংলাদেশের ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য তাই এটির উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে তীব্র গরমের কারনে ধানের ফলনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। গত বছর উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও ২০২২-২৩ সালে ৩৯.০৯ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হয় যা ২০২১-২২ সালে ছিল ৩৮.১৪ মিলিয়ন টন। সেই হিসেবে এবারের মোট উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগের আশংকা থেকেই যায়। 

বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী প্রতিনিধি নুর আহমেদ খোন্দকার বলেন, তাপপ্রবাহ ধানের পরাগায়ন এবং শস্য গঠনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহের কারণে  ধান উৎপাদনের অব্যাহত রাখতে সেচের চাহিদা বাড়তেই থাকবে। ধান ক্ষেতে সঠিকভাবে সেচ দিতে না পারলে এর উৎপাদন কমে যাবে বলেন মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (BRRI) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, দিন ও রাত উভয় ক্ষেত্রেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে যা ধান গাছের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। 

খালেকুজ্জামান আশংকা প্রকাশ করে বলেন, তাপপ্রবাহ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নিলে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে। তিনি বলেন, বিআরআরআই একটি তাপ-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে, যা বর্তমানে পরীক্ষাধীন। আগামী বছর কৃষকরা এই জাতটি সংগ্রহ করতে পারবে বলে তিনি জানান।

ক্ষতির মুখে  গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত, বিশেষ করে পোল্ট্রি শিল্পকেও মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে নিয়ে দাড় করিয়েছে এবারের তাপপ্রবাহ। অধিক তাপমাত্রার কারনে এবার ব্যাপক মুরগির মৃত্যু হয়। ফলে ডিমের উৎপাদন হ্রাস পায় উল্লেখযোগ্যভাবে। 

কিশোরগঞ্জের পোল্ট্রি খামারি বদরুল আলম নোমান বলেন, প্রচণ্ড গরমে স্বল্প খাদ্য গ্রহন করায় মুরগিগুলো ঠিকমতো বৃদ্ধি না পাওয়ায় ডিম উৎপাদন কমে যায়। তিনি বলেন, আগের তুলনায় এবার ডিমের উৎপাদন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এবং ব্রয়লার মুরগির ওজন গড়ে ৩০০ – ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত কমেছে।

বাড়তি চ্যালেঞ্জ শ্রম ব্যয় বৃদ্ধি  

তাপপ্রবাহ কারনে কৃষি সেক্টরে শ্রম ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ শ্রমিকরা অনেক সময়ই অত্যধিক গরমে কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করে। এতে শ্রমিক সংকট তৈরি হলে শ্রমিকরা উচ্চ মজুরি দাবি করে।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের কৃষক মাসুম মিয়া তার বোরো ধান কাটার জন্য শ্রমিক খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক চেষ্টার পর দৈনিক ৮০০ টাকা [৬.৮১ মার্কিন ডলার] মজুরীতে তিনি তিনজন শ্রমিককে নিয়োগ করেন অথচ স্বাভাবিক সময় একজন শ্রমিকের মজুরী দিতে হয় ৫০০ টাকা [৪.২৬ মার্কিন ডলার]। 

তিনি বলেন, আসলে এমন গরমে শ্রমিকরা কাজ চায় না। কিন্তু জমির ধান সময়মতো কাটতে আমাকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়।  

অপর এক কৃষক আবুল হাসেমও  একই ধরনের মন্তব্য করে বলেন, শ্রমিকের উচ্চ মজুরী সত্ত্বেও গরমের সময় মাঠে থাকতে রাজী হয়না। গরম কমে গেলেই তারা আবার কাজে ফিরে আসে।

এদিকে সুবিধাবঞ্চিত নারী শ্রমিকরা পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় আরো কম মজুরী পেয়ে থাকেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মায়ারামপুরে ধান কাটার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে খাদেজা আক্তার বলেন, তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকায় প্রচণ্ড গরমে একটানা কাজ করা খুব কঠিন। শরীরকে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের একটু সময় পর পর বিরতি নিতে হয়।  নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য খাদেজা একটি হাতপাখা ব্যবহার করেন। 

আরেক নারী কৃষক হামিদা খাতুন বলেন, আকস্মিক বন্যা শুরু হওয়ার আগেই ফসল কাটার মতো এমন কাজে যুক্ত হওয়া ছাড়া তার কোনো উপায় ছিল না। গরম আবহাওয়ায় আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আমরা বিশ্রাম নিই এবং ঠান্ডা থাকার জন্য আমাদের মাথায় পানি ঢালি। 

woman holding umbrella and walking over tarpaulin of rice
খাদেজা আক্তার প্রখর রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি ছাতা ব্যবহার করেন কারণ সে তার পা ব্যবহার করে ধান মাড়াই করেন (ছবি: রফিকুল ইসলাম) 

উদ্ভাবন ছাড়া বিকল্প নেই

বাংলাদেশের জনগণ রেকর্ড মাত্রায় তাপদাহ সহ্য করার পাশাপাশি কৃষিখাতটিও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই সংকট মোকাবেলায় কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভাবনসহ কৃষকদের জীবিকা রক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সময়োপযোগী এবং কার্যকরী উদ্যোগ। 

এই সংকটগুলো মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা তাপ-সহনশীল ফসলের উদ্ভাবনসহ জলবায়ু-পরিবর্তন সহিঞ্চু কৃষি পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দেন।

ব্র্যাকের ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড সচিবালয়ের প্রধান গোলাম রব্বানী বলেন, তাপ-সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারের উচিত কৃষিক্ষেত্রে গবেষণার জন্য তহবিল বরাদ্দ করা।

তাপদাহ মোকাবেলায় সারা দেশে জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা চালু করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে যাতে তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন এবং চরম তাপদাহ থেকে কিভাবে ফসল রক্ষা করা যায় তার কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে তাদের সহায়তা করতে পারেন।

উন্নত সেচ পরিকাঠামো এবং দক্ষ পানি ব্যবস্থাপনা কৌশলও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গোলাম রাব্বানী দেশের খরা ও তাপ-প্রবণ অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠের পানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন যাতে কৃষকরা সেচের জন্য ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করতে পারে। কারণ শুষ্ক মৌসুমে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যায়।

কৃষি এবং কৃষকদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে সমন্বিত একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন প্রয়োজন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী ডায়ালগ আর্থকে বলেন, তাপ-সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা ছাড়া আমাদের সামনে এখন আর কোনো বিকল্প নেই। একারণেই তাপ-সহনশীল জাত উদ্ভাবনের জন্য সরকার আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার বৃদ্ধি করছে। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয় নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে যাতে তারা পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা করে ফসল উৎপাদন করতে পারে।
মলয় চৌধুরীর মতো বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুল হক তাপপ্রবাহের প্রভাব থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষার জন্য একটি জাতীয় নীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের কারনে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে…. পোল্ট্রি শিল্পকে তাপপ্রবাহের বিরুপ প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য জাতীয় নীতি প্রণয়নের উপরে জোর দেন তিনি।