ঋতুরাজ বসন্ত যখন পূর্ণ যৌবনে, ঠিক তখন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচির বাসিন্দারা বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। চলতি মাসের তিন তারিখে (এপ্রিল ৩, ২০২১) বুধের স্তর ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছায় – এটি ছিল ১৯৪৭ সালের পরে এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, যার অর্থ চলতি গ্রীষ্মে তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে আরো ভয়াবহ উচ্চতায়।
শহর জুড়ে শুষ্ক তাপমাত্রা জুড়ে বসার কারনে করাচি এমপ্রেস মার্কেটের অতিষ্ঠ দোকানীরা কিছুটা স্বস্তির আশায় নিজেদের দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে দেন। সেখানকার একজন ফল ব্যবসায়ী দ্বিন মোহাম্মদ (৬৫)। দুপুরের তপ্ত রোদে বিপর্যস্ত দ্বীন মোহাম্মদ তার মাথার পাগড়ী পানিতে ভিজিয়ে নিচ্ছেন, অত্যন্ত গরমে তার মুখমণ্ডল ও দাড়ি ঘামে ভিজে যাচ্ছিল। দ্য থার্ডপোলকে তিনি বলেন, এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে কোথাও যেন আমার ঠাঁই নেই! দ্বীন মোহাম্মদের দৃষ্টি তখন নিজের সামনে থাকা কংক্রিটের জঙ্গলের দিকে। আশেপাশে নেই কোনো সবুজ বৃক্ষ যার ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
পাকিস্তানে কোভিড-১৯ এর থাবা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশটিতে এ মুহুর্তে চলছে কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ঢেউ। চলমান এ পরিস্থিতিতে দেশটিতে গত ৪ এপ্রিল কোভিডে আক্রান্ত জরুরী রোগীর সংখ্যা ছিল ৩,৫৬৮। অতিমারী শুরুর পর এটি ছিল আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। কিন্তু সারাদিন খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে করাচির ধূলোময় তপ্ত বাতাসে অতিষ্ঠ দ্বীন মোহাম্মদ এ মুহুর্তে কোভিডে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে মোটেই বিচলিত নন। তার কাছে এখন মারাত্বক করোনা ভাইরাসের চেয়ে করাচির তপ্ত আবহাওয়াই বেশি আতংকের। চিন্তিত কন্ঠে দ্য থার্ড পোলকে তিনি বলেন, ঈশ^রের কৃপা হোক, যেন আমি এই উত্তপ্ত আবহাওয়ায় এবারের মতো বেঁচে যাই।
জলবায়ু পরিবর্তনের জনগণকে যে মূল্য দিতে হয়
দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই তাপপ্রবাহ শুরু হয় বছরের মে মাসে এবং তা প্রলম্বিত হয় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এবছর মে মাসের শেষ দিকেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যদিও নেপালে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা প্রদান করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ, তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দুটি দেশ বাংলাদেশ ও ভারতে এরই মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। গত ১ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বুধের স্তর ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ৭৬ বছরে এটি ছিল সর্বোচ্চ। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে এবছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যবর্তী সময়ে দেশটির বিভিন্ন স্থানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হবে।
পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগে কর্মরত সরদার সরফরাজ চলতি বছরের এই আগাম তাপপ্রবাহকে স্বাভাবিক ভাবতে পারছেন না। তিনি এই অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই অভিযুক্ত করছেন। বিশেষ করে এই বছর পশ্চিম দিক থেকে হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে এবং করাচিতে দক্ষিণ দিকে থেকে সমুদ্র থেকে বয়ে আসা হাওয়া বাঁধাগ্রস্থ্য হচ্ছে। এর ফলে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সারাদেশ। সরফরাজ বলেন, আগামী দিনগুলোতে ব্যাপক অনিশ্চয়তার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব অঙ্গরাজ্য সিন্ধ প্রদেশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে করাচিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছায়। এসময় কমপক্ষে ১,২০০ মানুষের প্রাণহানী হয় এবং ৪০,০০০ মানুষ হিটস্ট্রোকে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
তাপসূচক কী?
তাপ সূচক হচ্ছে বাতাসে তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতার যৌথ মাত্রা। তাপমাত্রার প্রভাবে মানুষের দেহে কতটা গরম অনুভব হয় তার পরিমাপক হচ্ছে এটি। একে আপাত তাপমাত্রা হিসেবেও মনে করা হয়।
করাচির সরকারী জিন্নাহ পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের জরুরী বিভাগের প্রধান সিমিন জামালি বলেন, ২০১৫ সালে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌছে গেলে আমরা তখন জরুরী বিভাগে একের পর এক অসুস্থ্য শরীর নিয়ে মানুষকে আসতে দেখেছি। সেসময় আমরা দেখতাম জরুরী বিভাগে মানুষের শরীর যার বেশিরভাগই মৃত অবস্থায়ই আমাদের কাছে আসতো। যারা মারা গিয়েছিল তাদের মধ্যে একটি বড় অংশই হচ্ছে বয়স্ক ব্যক্তি। এদের অনেকের শরিরেই আগে থেকেই কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল এবং তারা প্রায় প্রত্যেকেই বস্তিতে বসবাস করতেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত এবং চরম আবহাওয়া খুব দ্রুতই নগরীর ২০ কোটি বাসিন্দার জন্য দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে উঠছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নগরীর বাসিন্দাদের জীবন যেন থমকে গিয়েছিল। ১৯৩১ সালের পর গত বছর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। বৃষ্টির কারনে নগরীতে বন্যা সৃষ্টি হয় এবং বাসিন্দাদের বেশ কিছুদিন বিদ্যুত সংযোগ বিহীন থাকতে হয়। সেসময় কমপক্ষে ৪১ জন মানুষের প্রানহানী হয়। সিমিন জামালি বলেন, আমাদের শহর খুব দ্রুত বড় হচ্ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কংক্রিটের দালান আর কমছে সবুজ গাছপালা। এ অবস্থায় আমি ভবিষ্যত নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত।
তাপ প্রবাহ এখন আরো নৈমিত্তিক
বিজ্ঞান সাময়িকী জিওফিজিক্যাল রিসার্স লেটারে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, আগামী দিনগুলোতে এ অঞ্চলে তাপ প্রবাহের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সিম্যুলেশন এবং ভবিষ্যতে জনগনের সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণায় ভবিষ্যতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কিছু অনুমান তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় প্যারিস চুক্তির ঈপ্সিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি বৈশি^ক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে হ্রাস করা সম্ভব হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ একটি স্বাভাবিক জলবায়ু ঘটনা হিসেবেই চলমান থাকতে পারে।
ওয়েট বাল্ব তাপমাত্রা কী?
ইনডেক্সের মতোই ওয়েট বাল্ব টেম্পারেচারের মাধ্যমে বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়, পাশাপাশি বাতাসের গতি, মেঘাচ্ছন্নতা, সুর্যের কৌনিক এবং অন্যান্য অবস্থান নিরুপন করা হয়। এই নির্ণয় প্রক্রিয়ায় ৩২ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার মধ্যে ঘরের বাইরে শ্রম অনিরাপদ, এবং এই মাত্রা হচ্ছে মানুষের সহ্য ক্ষমতার সর্বোচ্চ। এর অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মানুষ তার দেহকে ঠান্ডা করার ক্ষমতা হারায়।
উল্লেখিত গবেষণার মূল লেখক ফাহাদ সাঈদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অসহনীয় দাবদাহে পর্যূদস্ত হবে কারণ এখানকার ওয়েট বাল্ব তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সে. এর উপরে উঠতে শুরু করেছে।
প্রায় ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার এই অঞ্চলে জন্য ফাহাদ সাঈদের এই গবেষণা ফলাফল একটি সতর্ক বার্তা। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৬০ শতাংশ জনগণ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত, তাপমাত্রার উর্ধ্বগতি নি:সন্দেহে এখান ফসল উৎপাদন এবং শ্রমিকদের কার্যক্ষমতার উপরে মারাত্বক প্রভাব ফেলবে। আর অন্যদিকে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে অবকাঠামোভিত্তিক উন্নয়ন এবং নতুন নতুন আবাসন প্রকল্পের কথা চিন্তা করলে নির্মান শ্রমিকরা ধীরে ধীরে জনসংখ্যার আরো একটি বিপদগ্রস্থ্য অংশ হিসেবে পরিগনিত হতে যাচ্ছে।
উপকূলীয় নগর এবং সবচেয়ে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী
করাচি ও মুম্বাইয়ের মতো ব্যাপক জনবহুল নগরীগুলো সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফাহাদ সাঈদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর এর অর্থ হচ্ছে ভূমণ্ডলে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাবে। আর এর ফলে উপকূলীয় নগরীগুলো আরো বিপদাপন্ন হয়ে উঠছে। উচ্চ তাপমাত্রার সাথে অতি আর্দ্রতা মানে হচ্ছে দুর্যোগের ঘনঘটা।
গবেষণায় বলা হয় উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব মূলত অনুভূত হবে করাচি, পেশওয়ার, মুম্বাই ও কোলকাতার মতো বড় বড় উপকূলীয় শহরে কর্মরত হাজার হাজার দিনমজুর ও কলকারখানার শ্রমিকদের মধ্যে। সাঈদ বলেন, এরা হচ্ছে দরিদ্রতম মানুষ যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের সুযোগ নেই।
অন্যভাবে বলা যায়, তাপমাত্রার এই উর্ধ্বগতির ফলে বাড়বে দারিদ্র, ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে জনস্বাস্থ্য এবং সর্বোপরি এই অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর ২৯ শতাংশ, অর্থাৎ ২১৬ মিলিয়ন মানুষের জীবন যাত্রার মান মারাত্বকভাবে ব্যাহত হবে। এই বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর সবাই অতি দরিদ্র।
এটাই শেষ নয়, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারনে অনুপাতহীনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে এখানকার নারীরা। মার্কিন থিংক ট্যাংক আর্বান ইন্সটিটিউট ২০১৭ সালে একটি গবেষণা প্রকাশ করে। তাতে বলা হয় জলবায়ু পরিবর্তনসৃষ্ট নানামুখী চাপে বাড়িতে বাড়িতে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং দরিদ্র নারীরা ঘুম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গবেষণায় আরো বলা হয়, বৈরী আবহাওয়ার কারনে দিল্লি এবং ইসলামাবাদে দরিদ্র পরিবারগুলোতে কেউ অসুস্থ্য হলে নারীদেরকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও অতিরিক্ত একঘন্টা সেবা প্রদান করতে হয়।
জ্বালানী নীতি নিয়ে কাজ করেন নামিরাহ হামিদ। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা কমিয়ে আনতে বিশুদ্ধ জ্বালানী ব্যবহার বাড়িয়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন মাত্রা হ্রাসে সচেতনতামূলক কাজ করেন। জেন্ডার সমতা বিষয়ে জানতে চাইলে নামিরাহ হামিদ বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি করতে হলে নারী নেতৃত্বকে নীতি নির্ধারনী প্রক্রিয়ায় আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে সংশ্লিষ্ট নীতিগুলো আরো নারী বান্ধব হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে বিশুদ্ধভাবে রান্নার অভিগম্যতা, দুর্যোগ প্রশমন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা যুক্ত করতে হবে।
অভিযোজন আর এখন পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়। এটি এখন অবশ্যম্ভাবী।ফাহাদ সাঈদ, জলবায়ু বিজ্ঞানী
ফাহাদ সাঈদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘন ঘন উচ্চ তাপ প্রবাহের সাথে মানিয়ে নেয়া বা অভিযোজন আসলে সম্ভব। তিনি খোলা পরিবেশে মানুষের জন্য কৃত্রিম শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ধর্মীয় উপাসনা, গ্রন্থাগার এবং কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে এই ব্যবস্থার প্রচলন করা যায়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি দুর্যোগ মেকাবেলায় বিশেষ বিশেষ দল গঠনের পরামর্শ দেন যারা তাপ প্রবাহের সময় জনগনের সহায়তায় পাশে দাঁড়াবে।
অবশ্য কৃত্রিম শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা হলে উচ্চ তাপমাত্রার নেতিবাচক চক্রে তা পতিত হবে এবং এর ফলে আবারো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করতে হবে। এয়ার কন্ডিশনিং বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রচুর পরিমানে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়, যা জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক শীতাতপ ব্যবস্থায় হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (এইচএফসি) গ্যাস ব্যবহার করা হয় যা উঞ্চায়নের ক্ষেত্রে কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। সুতরাং জ্বালানী সহনীয় এবং এইচএফসিমুক্ত কুলিং প্রযুক্তিতে আরো বেশি বিনিয়োগ এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে।
রাজনৈতিক কারনে ভারত ও পাকিস্তান হয়ত একে অপরের সাথে সরাসরি কাজ করতে অনাগ্রহ বোধ করতেও পারে, তবে জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি বিষয় যা উভয়ের জন্যই সমান। ফাহাদ সাঈদ বলেন, দক্ষিন এশিয়া আঞ্চলিক সহায়তা সংস্থা – সার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে গবেষণা ও তথ্য আদান প্রদানের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। আমাদের জন্য অভিযোজন আর এখন পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়। এটি এখন অবশ্যম্ভাবী।
অনুবাদ: আরিক গিফার